Skip to main content

Full text of "Dipanwita দীপান্বিতা"

See other formats




২, কে. সি. বোস রোড, কলিকাতা - ৭০০ ০০৪ 
॥। তারিখ নির্দেশক পত্র || 
বইখানি ১৫ দিনের মধ্যে ফেরৎ দিতে হইবে 





দীপাহ্িতা এ. 


শ্রী হেমচক্দ্র বাগচী 





প্রাপ্তিস্থান 
বলদ এজেল্লী 
কলেজ দ্র মার্কেট, কলিকাতি| 


এখম সংস্খরণ 


অগ্রহায়ণ, ১৩৩৫ 


মূলা দেড টাকা 


প্রকাশক-_শ্্রী দলীপকমার বাগচী, 
৪]ই, বামধন মিত্র লেন, কলিকাতা 
প্রিন্টার--শ্্রী পরীক্ষিতচরণ গুপ্ত, 

কমলা প্রিটিং ওয়ার্কদ্‌-_৩, কাঁশীমিত্র ঘাট ্রীট, কলিকাতা 





লিজা 
লি কত কলে 
তর 
4 
রিকি, সং সি 
টি ৩) ০ র্‌ 
সিরাজের ১ 
এ) পা ্ ই 
এ কত স্‌ 
ইঁ ৮) & & 
নম রি দু ৪০8৫ ৮ 
2৬৮ ৮5 এ 
হু 782 
চা রি নী" 
৫ & 2 2 
১ 22 রি ৮ 
রি সন যা 
চর তি 
রী এ 
রি 
শান 


গত পাঁচ-বৎসরের মধো নে কবিতাগুলি লিখিয়াছি, তাহাদের 
মুকাংশই পরবাসী” “কল্লোল” 'কালি-কলম' উত্তরা প্রগতি প্রভৃতি 
বৃ নন সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল। তাহাদের মধ্য হইতে 
্দাচিত কবিতাগুলির একটি স্তর-সমতা রাখিয়। সে গুলিকে এই গ্রন্থে 
[্লিবিউ করিলাম। 


কয়েকটি হিতৈষী বন্ধুর সহায়তা ন| গাঁইলে নান! কারণে আমার পক্ষে 
সময়ের মধ্য বইখানি বাহির করা দুঃসাধ্য হইত। 'নাটিন্দিরে'র ববি 
চুক্ত হবোধ রায়, শ্রীযুক্ত প্রফুল্লকৃমার মিত্র, শ্রীযুক্ত হবলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় 
শ্রীযুক্ত ফণীন্্র পাল আমাকে প্রেস-সংক্রাস্ত ব্যাপারে যথেউ সাহাষ্য 
িয়াছেন। সেজন্য আমি তাহাদের নিকট কৃতজ্ঞ। 


শিল্পী শ্রীযুক্ত দীনেশরগ্নন দাশ প্রচ্ছদ-পটখানির পরিকল্পনাকে মুক্তি 










শী হেমচন্দ্র বাগচী 





সূচী 


লে 


2৮179 9০ 


বিশ্বনর্কা 
রৌদ্র 

ব্রাঙ্গাণ 
ধান্যামঞ্জরী 
উল্ 
মহাক্ুথ। 
শেলি 

কৰি ভবভূতি 
শরত-প্রশস্তি 
হে চিরস্ন্দর 
ওয়াণ্ট, ইট্ম্যান্‌ 
বৈজযন্তা 


“বিস্মরণী'র কৰি শ্রীযুক্ত মৌহিতলাল মজুমদার 
কর-কমলেষু, 


শনিশ্ধ ছায়।-তরু-ভলে ফিরিছে কে বালকের মন্যো”- 
কল্পনায় মধু চুষি ভোলা! আত্মহ।রা,-_ 

আমারি গায়ের পথে তা'রে হেরি--চলিছে নিয়ত, 
নৰ মধুচ্ছন্দ| সে কি,- ছুটায়ে ফোয়ারা? 

ব্যথায় নিবর্ণ মুখ, পুরাভনী স্বপ্ন বহে বুকে, 

হেরে দরে জনহীন মবুছ শ্বশীন ! 

ধ্যানে কা'র মুগ্ডি ধরি' রহিল! না৷ অনায়া সে 
ফেরে ভা'রি মন্ত্র জপি' সার! দিনমান ! 


সার! দিনমান ভা"র ছায় হেরি চিত্ততলে মোর - 
ধীরে ধীরে সঞ্চরিছে আমনদ-মন্থুর। 

সে ত এবশ্ররণী' নয়্--স্বৃতি-তীর্থ, শান্ত শ্রীতি-ডোর; 
তারি মাথে উঠে গান, সুন্দর, সুন্দর ! 


গোকুজনগর, দেবগ্রাম, 
নদীয়া, কার্তিক-সংক্রাস্তি, ১৩৩৫ 





ঙ্ ব ০ 
| গে অনীম আঁধার বিথারি' কাঁলো। এলোটুলে মালতী মালা. 
গোধুলি-বেশিনী কে সেই বালা? | 
বন-পথ-স্মৃতির বেদন| স'ীথির সীমায় কে দিলো রাখি! 
অন্ত-মেঘের মিনতি মাথি' 
আনা বধুটি এলে। কি আনীল-তারফা“আখি ! 
র জাগিলো অথির দেবতা--এলে। মে আমার মোথার নীতা ! 
ম্রমণ্চাকতা দীপাদধিতা ! 


আলো হ'য়ে যায় আলো! হ'ল হায়, অনাদি আধার দিনের তীয় 
ভুলিব কেমনে সে তটিনীরে? 
কল-কন্কণে চল-কিদ্বিণী বাজা'য়ে চলিলো নটিনী-রাণী-- 
ভাষা-আশা-গান সে দিলো! আনি; 
বুঝি বা! রুধিলে! অধীর মরণে আঁচল টানি । 
আজি তা'রি বাশি বাজাইবে কবি-_সে কি রঙ্গিলা! মানস-মিতা ! 
অভিারিণী গো দীপান্বিতা ! 


র-ঝর ঝরিলে! কি বারি, থর-থর-থর কাঁপিলো৷ হিয়া 
মধুর আবেশে আন্দোলিয় ! 
দর হারানে। ব্যথ! কি মূরছি' পড়িলো৷ মর্ন-ভটে! 
করণ রাঙ্গিণী সে ছায়ানটে 
টা্দিনী নিশায় কাদিয়৷ কপোত বেদন। রটে ! 
র দোহিনী গাহি শুধু তাই--হদয়ে হলিছে স্ৃতির চিত! 
মরম-মোহিনী, দীপান্বিতা ! 


আজি বদি' ভাই রন্ত-আথরে রচিন্ স্বপন; স্বপনে গাহি. 
কোথা'নে তরণী--দরণী বাছি। 
বাধ। জাগে তাই নাচিছে পরাণ--ঈশ।ন-ফেশর-বামিনীসম; 
কঠিন জকুটি কি মনোরম ! 
অধীর আঘাতে ফুটিবে জীবন আদিমতম। 
মাভিয়! উঠিব দূরেরি নেশায় ; অপরাজিভ। দে অপরিচিতা ! 
তিমির-বধূ গো দীগান্বিত। ! 


কবে গঙ্গার তীরে তীরে ভোরে অন্ুমরি' ফিরি মনেরি মনে 
শেফালি-ঝরায় মঙ্গোগনে। 
মাঠেরি বিরহ বেজেছিলো। বুঝি রৌদ্র-বিমানে। বটেরি ছায়ে ; 
দোগালি ঘুঙর রুণিছে পায়ে 
হামল গরশ-বুলানি আচল সকল গায়ে- 
আসিঙে আজে! কি হুদুরিকা সখি, নিখিল জনের মানম-নীত৷ ! 
কবিতাময়ী গো দীগান্ধিতা ! 


তারকা-ঝয়োক! খুলি' এলে কবে অকবি-জনেয় মর 
আজো সে পরশ ভুলিনি ব'লে 
শিরায় শিহর জাগে অহরহ--পরাণ উৎলে নবনী-্বে 
উভল, অধীর, মদির দেহে, 
দোথারি সারঙ.বাজিছে গভীর হাদয়-গেহে ।- 
নব দীগমাল! সাঙজা'য়ে এলে কি জো]তি-ঝলমল 
মানস-বধু গে! দীপান্ধিত ! 








জ তিমিরের বঙ্ষের তলে গৃহনগ্থীর শান্তিটিরে 

লীঙলা-সলিতায় আনিলে ধীরে ! 
ঠায়ে রাখিলে কোটি কোটি দীপ নিণীথ নীরব আলিসা-পাশে; 
। জানি ন| কত না মধুর আশে 
৷ তারকার বামী গবনে যেন গো ভাসা আসে! 
।শিরে-শিরে শিশিরের মোহ; বহিয়া জীবনে নবীন গীতা 
এলে তুমি অয় দীপান্বিতা ! 


তোমারি আলোক-উৎসব চলে শশীহীন আধো আঁধার মাবে 
জানি না ত হায় কিসের লাজে 
থমকি' থেমেছ মাঠ-গরপারে বিশী-ুপুর মুখর নহে 
মৌন বেদনা নীরবে বহে। 
ঘন-কল্পনে সে দেহ-লতিকা শিহরি' রহে। 
কিমের লাগি' সে সুখ-শিহরণ ক? তুমি কা'র পরণ-ভীভা, 
শেফালির সধী দীগা্িতা! 


|মারে হেরেছি কিশোরী বালিকা,_দীপের মালিকা গরেছ গলে; 
হনিবিড় কালো! বুকের তলে 
[বাণী মুরছি' ছিলো গো একদা, আজি সে রুচির! আতুরা বড় 
কোমল মাধুরী মধুরতর। 
_ কালো! কেশপাশে অনার্দি আধার নিবিড়তর। 
1থা' সে তরুণ বন্তভ তব, শীত-দমীরের পরশ-্রীতা, 
| মিলন'্যাকুলা দীপািতা! 


হায় গো তামসী, চোম।রি লাগিয়া আকাশে আতশ খেলিছে 
চিরদিবসের মানস-হরা ! 
কি বেশে এসেছ অমা-নিশীখিনী, রমারে হেরিঙ্্ ভোমারি? 
স্বমোহন বেশে মধুর হাসে। 
অলখ -সেতারে গুঞ্জন তা'র মরমে আসে। 
দে আদিকাঁলের গভীর আধার নব বধূবেখে সলাজন্মিতা- 
ভিমিরময়ী গো দীপান্ধিতা ! 


তোমারি মাঝারে হেরি ছায়া যা'র, মনে হয় সে ধে বাদিত ভালো। 
গরাণে ফুটা'ত করুণ আলো ! 
শিইর-আতুর কর-কিশলয় আজে! যে জাগিছে মরগ*্ভলে ; 
বিবশ হিয়ার কুনুম-দলে, 
কেবা মে গোপন মরমী পবন নীরবে চলে ! 
নিবিড় তব শুঠন-তলে নহে সে কিশোরী অপরিচিতা, 
তিমিরময়ী গো দীপান্ধিতা ! 


আজি মনে হয় হেরেছি ভাহারে পরাণ ভরিয়া কত-না দেশে 
কত বেদনায়, কত-না বেশে! 
তাহারি কাকণ বেজেছে আমার নিশীথ-দুয়ারে বিশ্লী-নাথে 
নিদ্রাবিহীন নিথর রাতে, 
চমকি' জেগেছি বেদনা-বিভোল শারদ-গ্রাতে ! 
তোমারি আঁচলে ঢেকেছে আনন, সে যে চিরদিন অপরাজি 
দীপাখিতা গো দীগান্ধিতা! 


দীপান্বিতা 


আমার মাঁনস-শতদল-তলে 
মক্ষি-রাণী, 

কি ধূপ-দহনে উঠিবে জাগিয়া 
জানি গো জানি। 

যে দীপ-শিখাঁরে জ্বালায়ে ধরিব 
পরাণ-পণে, 

শিরায় জাগিরে গিহর তাহার 
পরম-ক্ষণে ! 


_ সারা বিশ্বের কলভাষা৷ পশে 
শ্রবণে তব। 

কত ধুপ দহে কত কামনায় 
কেমনে ক'ব? 

কত সঙ্গীত কত-না মালিক! 
হয়েছে গাঁথা । 

একটি গোঁপন মরমে তোমার 
আঁমন-পাতা। 


কত জীবনের কত মধু-ধারা 
মিলেছে এসে ; 

কত উম্মন উদাসী মিলেছে 
উদয়-বেশে ! ্‌ 

সোনার গোঁধুলি কহিছে যেথায় 
দুরের বাঁণী-_ 

মহিমায় সেথা বিরাজিছ মোর 
মক্ষিশ্রাণী ! 


৩. 


বন্দিনী সে নারী 


বন্দিনী সে নারী 
লক্ষ কোটি নাগ-পাঁশ অপসারি, অনায়াসে, মুক্ত হবে কৰে? 
প্রথম মৌচন-গাঁন গ্রভাত-সঙ্গীত সম ধ্বনিবে ভৈরবে ! 
বক্ষের পঞ্জরে মৌর মুক্ত তাঁ'র কল-ভাষ! সবেগে সারি, 
অবাধ উদ্দাম ভঙ্গে বন্ধ অপসারি, 
মেখলা-চঞ্চল নৃত্যে সঞ্জীবনী প্রীণময়ী ধারা, 
স্থদূর সিন্ধুর গানে যেন আত্মহারা, 
বিকশিবে আপনার নবীন যৌবন-রূপ পুর্ণ স্থরে তারি-_ 
মান্স-গহন-তলে শৃঙ্খল-পীড়িত-দেহা বন্দিনী সে নারী! 


রঙ 





ঢীঞ্পালিভ্ডা 


মঙ্গি-রাঁণী 


মধু-সন্ধানী জীবন খুঁজিছে 
হৃদয়-সাঁথী; 

তোমারে ঘিরিয় গুঞ্জন তাই 
দিবস-রাতি। 

শুধু ঘুরে মরি, গাঁন গেয়ে যাঁই 
পথের "পরে; 

কোমল কমল-পিয়াসী পরাণ 
দ্হিয়। মরে। 


কহ কহ” মোরে মৌন-আননা, 
কি ভাষ| মনে ! 
বিবশ দিবস রসহীন বৃথা 
অন্বেষণে ! 
ষে ছবি হেরিৰ নয়নে তোমার 
আবেশ-ভরা,- 
ছুপ্ধ-সরিতে ন্নান-শেষে যেন 
হীঁসিবে ধরা! 


দীপা্িতা 


তা'রে নাহি গাই; বৃথা গান-গাই 
জীবন ভরি । 

ভাঁবি মনে হায়, কবে হ'বে শেষ 
এ শর্ব্বরী ! 

শুধু দিশাহারা অমাঁনিশা জাগে 
ভৃষার সাথে। 

তরুণ জীবন-অরুণ উঠে ন| 
মধুর প্রীতে। 


ভাবি মনে তুমি অপর্ণ। কি গো 
তাপসী কৃশা ! 
ধুভ্রার ফুলে গিরি-রাজ-স্থুতা 
পেয়েছে দিশ ! 
সার প্রাণ ভরি' শুধু গৈরিক, 
সে উদাসিনী_- 
তপোমোহ-ঘোরে ভুলে সে কামনা ;-- 
তাহারে চিনি। 


চিরদিবসের গুন-মাঁঝে 
পলক লাগি” 

চাহ" চাহ' ওগে। করুণআননা 

্‌ সহসা জাগি! 

সেঞ্াখি হেরিয়া জীবনে আমার 
ঘনা'বে মায়া । 

ধূসর উর মরুরে ঘিরিবে 
মেঘের ছায়া! 


খ 


দাপান্িতা 


অশ্রঃ নাহি হেরি। 
সে দুটি কমল-নেত্রে লুপ্ত উৎস বেদনার। রক্ত যেন ঝরে! 
সন্ধ্যায়ান সূর্ধ্যমুখী, তৃহিন-বিশীর্ণ-কাঁস্তি ; কল-গীত-স্বরে 
জাগে না জাগে নাআর। ক্ষীণ তনু ঘেরিঃ 
বিষাঁদ প্রসারে ছায়া। পথে পথে বাঁজিছে প্রস্তর; 
উপল-বিষম-গতি বিলীন তটিনী যেন-_দুশ্চর দুন্তর 
বাধা-সিন্ধু বিক্ষৌভিছে- দিগন্ত-টুম্িত-সীমী ! রণিছে শৃঙ্খল ; 
শক্তি নাই, শক্তি নাই; মুক্তি তারে দিবে কিসে ব্যথিত বিহ্বল ! 


পাথার-পারের দেশে সুহ্র্গম ছুর্গ-শিরে, রুদ্ধ কক্ষতলে, 
বন্দিনী সে নহে নহে অনীয়াস-জড়তার ভারে। 
বিবশ দিবসগ্তলি যাঁপে না সে আলস-আবেশে, 

চিরমুগ্ধা নীয়িকার বেশে ! 
রাজার তনয়-স্বপ্মে মগ্লা নহে অনুদিন। তাই বারে বারে 
মস্থণ পথের রেখা লুপ্ত হয় চিরতরে । স্তব্ধ বক্ষতলে, 
কর্মের বাঁণীরে শুনে লগ্নপাঁণি নতনেত্রী মৌন অশ্রজলে ! 


সে মোর বন্দিনী প্রিয়া__দিনে দিনে তা'রি লাগি” পথ অতিবাঁহি, 

কণ্টকে বিক্ষত পদ, তৃষায় আতুর ক, দিশ' নাহি নাছি। 

অতীত পথের পাঁনে বাঁরে বারে ফিরে ফিরে চাছি। 

দূরর্বহু বহন-ভারে পরিষ্নান জীবনের ডাঁলি 

কেছ না লইবে তুলে । শুধু ধৃম, শুধু শিখা, ১ম আর কালি_ 
তারি মাঝে পথ-রেখ আঁকি । 

বিপুল বন্ধন-পিষ্ট ধূলিজাল উড়াইবে না কি 

সুদুর ঈশান-্লীন, অধীর, ধূমল-দেহ হে কাল-বৈশাখী! 


৫ 


দীপান্বিতা 


ভাবি তাই রিক্তপ্রাণ, বিস্তহীন, ব্যর্থ, অর্ধ্য দিয়া 

সকল প্রয়াস-শেষে তোরি তরে ছুঃখ-স্বর্গ রচি” দিব প্রিয়! । 
অম্বত-কমল কবে উন্মেষিবে নিম্পেষিয়া মোরে, 

তাহারি পরাগ-মধু ব্যথান্মিত তোমারি অধরে 
সমর্পিব,_হেন স্পর্ধা চিত্ত-তলে রহি” রি” বাঁধে নাই বাঁস| 
দুর্বার পীড়ন-ত্রস্ত এ বন্দী-জীবন ভে্ি' অস্কুরিত আশা 
কত বার দগ্ধ হ'ল, ব্যর্থ হ'ল কতবাঁর। হে বন্দিনী প্রিয়া, 
আমার জীবনে তাই তোমার অর্চন! হ'বে ম্লান মাল্য দিয়া। 


সে মীল| তৌমারি কেশে দোঁলাইৰ পলকে পলকে । 

তা"রি ডৌর-বন্ধে-বন্ধে কেযুর-নূপুর দিব রচি” ; 

পরাইব কণ্টে তা"রে কনক-মালিকাঁসম। ঝলকে ঝলকে 
উচ্ছ'সিত রক্ততোতে অলক্তক দিব ঘে বিরচি”। 

উষাঁর সলাঁজ দৃষ্টি অপিবে আননে মোর, হে বন্দিনী প্রিয়া, 
দহন-বিশীর্ণ-প্রাণ-বিনিময়ে মুক্তি তব লইব জিনিয়া ! 


উদ্দাপিনী প্রিয়া 


উদীসিনী প্রিয়। চাহে না আমার কোমল পরশটিরে। 
কালে! কেশে দিনু নবীন কুন্থুম, ফেলিলো নয়ন-নীরে ! 
কে দোলাই যে মণি-মালিকা, তা?রে রাখি” দেয় তুলে; 
বাঁতায়ন-পাশে বসি” একাঁকিনী চম্পক-অঙ্গুলে, 

অধীর বীণাঁয় আনে গুঞ্জন; যেন ঘন কালো নীরে 
নীরবে ঘনায় অনাদি আঁধার তারি স্থুরে ধীরে ধীরে। 


কি আলে! তাহারে করে উন্মাদ আঁজি এ বিজন-পুরে, 
ভোরের পবন কি বাণী জানায় নব টহলের স্থরে ! 
চাহিয়া নয়নে নাহি পাঁই তাঁ'র চিরপুরাতনী দিশ। ; | 
কি তা'র কামনা, কিব! তার আশা, কেমন মনের তৃষা! 

সে যে চাহে দুর__আমি খুঁজি স্থুর জীবনের পথে ঘুরে । 
মাতি' উঠে মনে চিরচঞ্চল ফিরে যাই দূরে দুরে । 


শী. 


দীপান্বিতা 


বাঁড়ে বাবধান। ভূলে যাঁই মনে কি আর রয়েছে বাঁক 
উদাসী বাতাঁস ফিরে চারিপাশ গুমরিছে থাকি" থাকি'। 
ক্ষণে ক্ষণে জাঁগে নবীন বাঁসনা নব মুকুলের মত, 

নৃতন করিয়া করিব আপন হারানে। বেদনা যত। 

উল জীবন-দৌল। লাগে প্রাণে ; মুখর মনের পাখী 
কলভাঁষে করে আলোকে মিনান। পিঞ্জর দুরে রাখি। 


উদাসিনী প্রিয়া! কেশ আকুলিয়। কত যুগ-যুগ ধরি, । 
নীরবে মরিছে দখিণ। বাতাস; হেনা গড়ি যায় ঝরি, | 
আকাশের শশী আছে বসি যেন কবে সে জাগিবে বলি?! 
করুণ নয়নে চপল হাঁসির বিভাটি উঠিবে ঝলি' ! 

রাভিবে কপোল; নব কল্পনা-মঞ্জরী উঠে ভরি । 

উদীসিনী মোর বিরহে রচিছে মিলনের শর্ব্বরী। 








খেয়াল-খুশী 


আজি কি খেয়াল খেলিছ বসিয়া 
চন্দ্রাননে, 

কিসের খুশীতে হাঁসি ভাসি” উঠে 
তোমার মনে ! 

তোমার চোঁখের চপল চাহনি 
ভুবন ঘিরে ; 

, খেয়ালে ফুটা'লে আমার হৃদয়- 

পদ্পটিরে! | 


টি 


দীপান্বিতা 


তোমার খেয়ালে জীবন আমার 
উঠিলে। রাড়ি? । 

তৌমাঁর খুশীতে হাঁসি ভাসি উঠে 
বাঁধন ভাঁড়? | 

কলভাষে তব আশ! জাগে প্রাণে 
গোপনে ধীরে, 

খেয়ালে ফুটালে আমার হৃদয়- 
গল্সটিরে ! 


যেথা নিশিদিন শ্বসি' উঠে বায়ু 
উদাস-গীতে, 

বহাঁঠলে সেথায় মলয় পবন 
অপরিচিতে ! 

কাননে কাননে যেথা অলিকুল 
হতাশে ফিরে, 

সেথায় জাঁগালে খেয়ীলে হৃদয়- 
গল্পটিরে । 


তাই মনে হয় খেয়ালে জাগিছে 
চন্দ্র-তার।। 

খেয়ালে ঝঞ্চা ঘুরিয়া মরিছে 
বাধন-হার|। 

কোন্‌ সে খেয়ালী, খুঁজে ফিরে তারা 
ব্যাকুল বেগে! 

নিয়মিত হ'ল গ্রহ-তার! তাঁ*রি 
আঘাত লেগে! 


৯9 


দীপান্বিত। 


কীঁদি' ফিরে যবে নিঃস্ব পরাণ 
বিশ্ব-মাঝে ; 

চল-চরণের মঞ্জীর-ধ্বনি 
খেয়ালে বাঁজে ! 

ছায়! নামে তাই-_শ্যামলবরণী 
সিদ্ধ ছায়া; 

জাগি” উঠে গান। তৃপু মরমে 
জাঁগিছে মীয়! । 


খেয়াল-খুশীতে হাসিতে ভাঁসিতে 
' নিয়ম ঘুরে। 
স্থষি জাগিছে খেয়ালে কাহার 


শুন্য জুড়ে । 

প্রবাহ আনিয়া! শুক্ক জীবন- 
সরসী-নীরে, 

খেয়ালে ফুটালে আমার হৃদয়- 
পদ্মটিরে ! 





লীলা-কমল 


এ লীলা-কমল দোলাৰ তোমারি বুকে-_ 
নব নব কৌতুকে ! 


কোমল মৃণাল মুণাল-ভূজের পাঁশে 
শঙ্খ-গ্রীবাঁয় সরসী-স্থরভি নিয়া 

সারা তন্ুখানি ব্যাপিয়! মধুর হিয়া 
সরোৌজ-কিশোরী ফিরিবে তোমারি আশে ; 


বাহির-বাঁধনে পারি ন! বাঁধিতে তোরে। 
কোমল! তোমায় বাঁধিব কমল-ডোরে। 


১২ 


দীপান্বিতা 


অফুট কৌরকে রেখেছি প্রাণের তৃষা 
শেফাঁলি-গন্ধমিশ।। 
কাশের হাসিটি স্দুর-বিসারী মাঠে ; 
চপল মেঘের কাঁজল বরণখাঁনি, 
বরষা-শেষের তৃণের আঁসন আনি, 
বিছা'য়ে রাখিব ঘতনে হৃদয়-পাটে। 


নলিনী-দলের সবুজ শখ্য। পরে 
অতসী-কুস্থম সাঁজাইব থরে থরে । 


উশীর-লেপনে মিপ্ধ কুচের চূড়া; 
লোধু-কেশর-গু ড়া, 
পাণ্ড কপোলে, আনত আখির নীচে, 
যে মোহন মায়া চকিতে উঠিছে ছুলে,_ 
ূর্ণা তটিনী যেন কলরোল তুলে; 
সে মেঘ-মীয়ার সকলি নহে ত মিছে! 


প্রাচীন দিনের প্রসাধনে তাই প্রিয়া, 
সাঁজাঁ,ব তোমায় এ জীলা-কমল দিয়! 





কদম-কুস্থমে আজি 


কদম-কুস্থমে আজি প্রিয়ারে সাজায়ে দাও বাঁদল-দিনে। 

শ্রাবণ-মেঘের মতো হারানো হৃদয় তাঁর লওগো জিনে। 

কত রাতি কত দিন চলিছে বিরামহীন বিফল কাজে; 

আজি এ মিলন-দিন বিরহে বিবশ-করা আর না সাঁজে ; 
আধার গগনতল ঝরিছে নয়ন-জল ; 
বেদনাঁবিধুর হিয়া সদা করে টলমল । 

বিফল জীবন আজি সফল করিয়। লও প্রিয়ারে চিনে । 

কদম-কুম্থমে আজি তাহারে সাজায়ে দাও বাঁদল-দিনে। 


স্থদুর অগম পথ অচল জীবন-রথ কিসের লাগি" ? 
পথিকজনের হিয়া আজি ফিরে সচকিয়া কাহারে মাগি" 
জানো না জানো ন| হায়, দিনগুলি চলি? যাঁয় দিনের পি! 
ভাবনা-দাধনা সব কিসের লাগিয়া যেন হুইল মিছে! : 

আজি কেন অকারণে মনের গহন বনে, 

একেলা কাঁটাও দিন ব্যাকুল বিষাঁদ-সনে ! 
কেতকী-্থবাসে তা"র স্থুরভিত করো কেশ রজনী জাগি' 
সদর অগম পথ অচল জীবন-রথ কিসের লাগি ! 


৯৪ 


.. শীগািতা 


আজি পাঁশে বসি” তা'র বান্“ডোরে পড়ে ধাঁধা শ্রীবণ-রাঁতে ! 
অবিদিত-গত-যাঁম রজনী চলিবে কিরে ঘুমের সাথে ! 
প্রিয়ার মরম-পাঁখী মরম-কুলায়ে তব পশিবে ধীরে। 
কানে-কানে কহ" তাঁর পরশি* কপোল ছু”টি চাঁহ'গো ফিরে! 
সরম-জড়িত সুর ভরিবে পরাণ-পুর ; 
স্থদুর হইতে কানে মিলন-বীশীর স্থুর 
পশিবে পশিবে ধীরে ধারের বুক চিরে হরষ-সাঁথে। 
প্রিয়ারে লওগে! চিনে আজি পাঁশে বসি” তা" শ্রাবণ-রাঁতে ! 


ব্ুদিন হু'ল হায়, চলেছ জীবন-পথে ; চাঁহ'নি ফিরে ! 
কতন! মিলন-ক্ষণ বৃথাই চলিয়। যাঁয় গোঁপনে ধীরে ! 
আজি এ বরষা-রাত যাঁপ” ঘাঁপ' প্রিয়া-সাথ সকল ভুলি? । 
এ কাঁল-সাগর-তটে নাহি নাহি মিলনের মুকুতাগুলি ! 
তাহারা অতল-তলে নীরবে রহিয় জ্বলে 
গভীর গাহন করি, আপন মানস-জলে, 
যে জন পাঁয় গো৷ তাঃরে, সে জন পরম ধনী সাগর-তীরে। 
আজি সে মিলন-দিন; প্রিয়ারে সাঁজায়ে দাও চাহ” গো ফিরে। 


৯৫ 





সম্ধামণি 


আঁজিকে দিবস-শেষে সন্ধ্যামণি, হেরিলাম তোরে-- 
হরিৎপল্লবতলে অস্তরীগ-রক্তিম তনিমা, 

ৃত্তিকার্‌ নবীন ছুহিতা। দুর গ্রামসীমা 

নব বারি-ধাঁরা-ধৌত ধরণীর অঞ্চলের ডোঁরে, 

শ্যামল তৃণের গন্ধে ক্ষণে ক্ষণে উঠিছে শিহরি'। 


রজনীগন্ধার বনে পুষ্পময় যুথিকা-জালকে, 

সিগ্ধী তরু-লতিকাঁর কোমল পল্পবে, 

সমীর-পরশে যেন জাগে থরথরি, 

পুর্ণতীর কোমল মাধুরী । তা'রি মাঝে পলকে গলকে, 
সন্ধ্যার গুঠিত ছাঁয়া ধীরে হেরি আসিছে ঘনাঁয়ে ; 
আজিকার শাস্ত মহ্‌ বাঁয়ে, 

মৃছুতর গন্ধ তব সন্ধ্যামণি, বিলাঁও বল্পভে ! 


৯৬ 


দীপানিত্কা . 


প্রিয়ার আননে তোরে হেরিলীম সন্ধ্যার মণিকা, 

একদী দিবস-শেষে শান্ত দীগশিখা 

ন্িগ্ধ তা'র জ্যোঁতিটিরে দিলো প্রসারিয়া । 
জীধাঁর-আলোক-তলে খুন্তি তাঁর পড়িলে! নয়নে 
শ্যামল পল্পবে যেন সন্ধ্যামণি উঠেছে ফুটিয়া, 
প্রেম-রাগ-রক্তিম। বল্পরী; মান আলো কীপে ক্ষণে ক্ষণে। 


চুম্বন চাঁহিনু যবে, জ্রস্তা, ভীত। আনন্দ-লতিক। 
সমীর-গুপ্জনে যেন উঠিলে৷ চমকি” ! 

দাড়ালো থমকি 

সহসা! জগৎ মোর ক্ষণমাত্র পলক ন্মরিয়!। 

সর্বব স্তব্ধ অন্ধকার-রন্-পথ দিয়া 

প্রতীক্ষার রুদ্ধ ব্যথা মন্ধে মোর উঠিলো গুমরি । 


টানি? তা'রে বক্ষ পরে, 

অধরের মৌন ভাষা রাখি" দিনু স্মিত অধরে। 
মুদিলে! নয়ন-ছু'টি। খ'সে যাঁয় কবরী-&ন) 
হেরিনু মোহন, ্‌ 

সম্ভ সে অলক-বন্ধে সূত্রহীন অনিন্দ্য গ্রন্থনে, 
সন্ধ্যামণি, বন্ধ তৃমি অন্তহীন প্রেমের বন্ধনে । 


পাপ 


৯৭ 





মাটির প্রদীপ 


আজি হেরি কুপ্জতলে প্রন্ফুটিত দৌপাটির বনে, 
ঝরা ফুল-পল্পবের পাশে, 

নবোদগত তৃণদল মঞ্জরীর ব্যগ্র আঁশাঁটিরে 
সঙ্গোপনে মর্দ্মতলে রাখিছে লুকায়ে। 

শেফালির শ্যামদেহে কুস্্মের নব সম্ভাবনা ; 
গগনে গগনে চলে স্থজনের নবীন জল্পন। ৷ 

ক্লান্ত কায়ে পরশ বুলায়ে 

নির্মল শারদ বায়ু প্রবাহিছে ধীরে। নীলাকাশে, 
চপল মেঘের দল। বিকশিছে কাঁশ ক্ষণে ক্ষণে। 


পশ্চিম গগনে আজি নব রক্ত-সন্ধ্যার সঞ্চারে, 
বিমল সরসী-নীরে সগ্ভন্নান-শেষে 

ফিরিছে পল্লীর বধূ, সিক্তবাঁসা, পুর্ণকুস্ত বহি'-_- 
চর্ণালকে ছায়ায়ান ভঙ্গ জলকণ। ) 

নয়নে স্ফ্রিছে হাসি, বক্ষতল-কমল-কোরকে 
জাগে কত স্বপ্র-সাধ, কত-না বাঁসনা, 

কত হাসি, রসৌৎসব, কত গান কত-না পুলকে 
উদ্দিছে, মুদিছে আশী। হেরি রহি* রহি” 
মৌন! নিশীথিনী নামে লাজন্ত বেশে 

আঁবরি' শ্যামল তনু নান মেঘ-বসন-সম্তারে । 


১৮ 


দীপান্বিতা 


গৃহে গৃহে দীপ উঠে জুলি? । 

মাটির প্রদীপ-_তী'র স্সিগ্ধ ছ্যুতি আলিঙ্গিছে ধীরে 
পর্ণকুটারের ছার, নিদ্রাশান্ত স্নেহানন গুলি, 

জীর্ণ শ্লান কয়টি বসন, অজনের তুলসী-মন্দির ; 

তার পরে কীপি” উঠে তীব্র বাঁয়ে। দীপ্তি উঠি” ঝলি' 
নিবে যায়। শীর্ণ ছায়! প্রাচীর-বাঁহিরে 

নীরব কম্পনে যেন উঠিছে ব্যাকুলি। 

বিল্লীর বঙ্কীর চলে। বায়ু-শ্বাসে কাপে তরুশ্রির। 


বল্পভের বাহুর শিথানে, 

শস্তা বধূ ধীরে ধীরে পড়েছে ঘুমা?য়ে। 

অবিন্ত্ত কৃষ্ণকেশ, গাঁ স্থপ্তি-শিথিল বসন ;-- 
ক্ষুদ্র নব দেহাঁধার--শিখা তার প্রেম-আরাধনা ; 
রাত্রির বাঁসরে ভুলি” প্রিয়-বক্ষে আনন লুকায়ে, 
বিশ্বের সকল ব্যথা ভূলে যায়; রোমাঞ্চ-কঞ্চুকে 

_ তনু-গাত্রী মুহুমু্ু উঠে শিহরিয়া। শীস্ত তৃপ্ত মুখে 
মৃদু প্রভাতের বায়ে জাঁগে সচকিয়া,-_ 

মাটির প্রদীপ যেন সিগ্ধা, শ্যাম! দিবা-অবসানে। 








বিদায়-দিনের স্মৃতি 


সেই যে হ'ল দেখ! 

তোমায় আমায় বিদাঁয় কীলে ;_এই স্মরণের রেখ! 
রইল লেখা মনের কৌণের জমাট স্মৃতির স্তুগে। 
রইল চুপে চুপে। 

রইল গোপন নিবিড় বেদন ; সর্লনা'ক বাঁণী,_ 
ওগো! আমার রাণী ! 


তোমার স্মড়ীর রক্ত-রেখা আজকে থেকে থেকে 
আস্ছে যেন অনেক দুরের হেনাঁর গন্ধ মেখে, 
বাঁদল-ভেজা৷ মেঠো পথের ব্যাকুল গন্ধ নিয়ে, 
আমার বিধুর মনের মাঝে ওগো আমীর প্রিয়ে ! 


সেই রেখাঁটি আমার মনে রইল জবল-জুল, 
তাঁই-ত ছল-ছল 

অকাঁরণেই আঁখির কৌণে জম্ছে অশ্রুধা রা, 
অনেক দিনের আটান-বাধনহা'রা । 


থু 


দীপান্বিতা 


অনেক ছুখে-শোকে, 

অশ্র ছিলো কঠিন হ'য়ে । আজ সে দিবালোকে, 
তপ্ত হ'য়ে ঝর্‌ুলো, ভাবি তাই, 

বিফল হ'ল কঠিন হওয়ার গোপন সাঁধনাই। 





হায় রে আমার বিদীয়-দিনের স্থৃতি, 
এই কি তোমার অভিসারের রীতি £ 
এই কি তোমার ব্যথার কীটা-হাঁন £ 
দিন-ষাঁপনের গ্রানির মাঝে আস্তে তোমার ছিল যে হাঁয় মানা । 


আবাঁর কবে ভবিষ্যতের পথে, 

তোমীয় আমায় হ'বে দেখা--কোঁথায়, কেমন-মতে ! 
কেমন ক'রে চাইবে তুমি প্রিয়া, 

আতুর বিধুর আশায় ভরা কোমল দৃষ্টি দিয়া ! 

কেমন ক'রে কীপ বে আমার বেদন-ভর! গুম্রে-মরা হিয়া ! 


সেই বিদায়ের দিন 

আমার মনে রইল প্রিয়া, রইবে যে নবীন । 

বইর যত কাল 

এই জীবনের কাঁদন-মাখা ব্যাকুল ব্যথার জাল, 

মাঝে মাঝে হেরব তা'রি ফাঁকে, ও 

অধীর স্থৃতি সেই দিনেরে কেমন গোঁপন রাখে 

আপন বুকের মাঝে ! চি 
তোমার সাড়ীর রক্ত-রেখা কেমন রাগে হায় গো ৫ | ডু) 





চি 


দীপান্বিতা 


আধার মেঘের গায়, 

তড়িত-সখী যেমন ক'রে চমক দিয়ে যাঁয়,_ 
তেমনি ক'রে মৌর পরাণের নিবিড়, ঘন মেঘে 
বিদায়-দিনের স্মৃতির হাওয়া লেগে, 

তোমার পাড়ের রক্ত-রেখা শুধুই চমক হাঁনে। 
আলোর বাঁণী নাই যে কোথা” গুম্‌রে মরি প্রীণে। 


০ 


ষহ 


ব্যবধান 


আমার জীবন-মাঝে প্রেয়সীর রূপে, 

তুমি নারী চুপে চুপে, 

এসেছ অর্গল খুলি” সম্মিত আননে ; 

সেইদিন কাননে কাননে, 

অজঙ্র কুন্ুমরাঁশি ফুটেছিলে! আমারি লাগিয়! 
প্রিয়া মোর প্রিয়া! . 


সেই স্থুধাহাশ্যধারা, সেই তব প্রেমঅর্ধ্যভার 
জীবন-বীণাঁর তারে তুলেছিলে। কি নব বঙ্কার,_ 
আজি এ নিশীতে 

স্মরি তাই। সেই শুত্র স্থকোমল হাতে 
আমার বেদনারাশি, আমার এ তুচ্ছ স্থখভার 
কেমনে নিয়েছ তুলি” মনে তাই পড়ে বার-বার। 


সখা ভুমি সঙ্গী মৌর, ওগে। নারী, ভি 
হে তরুণী, লাজাবগুটিতা, 

সেথা তব হ্বদয়ের স্তৃশুভ্র আসনে ূ 
আমারে দিয়েছ স্থান। প্রেম-আবরণে 


৭... 


দীপান্বিতা 


আমার হৃদয়-দাহ তৃষ্গা-ক্লেশ রাজি 

সযতনে দূর করি" ম্মিতমুখে দড়ায়েছ আজি 
আমার এ মানসের প্রতিমার বেশে, 

অতি ধীরে লাজহাসি হেসে! 


রয়েছ হৃদয়ে। তবু, ভাবি তুমি আছ কতদুরে? 
সেথ। মোর চিত্ত মরে ঘুরে। 

হাঁসি তব, জাখি তব, তব নিত্য লীল1-চঞ্চলতা__ 
প্রাণে শুধু জাগে সেই কথ! । 


রাণী ওগো রাণী, | 
আজি মোর তপ্ত ভালে রাখ, তব স্রিগ্ধ হস্তখানি। 
এ ক্লিট আখির 'পরে রাখ তব স্থির অখিতারা। 
কোথা তুমি ?- স্তন্ধ রাত্রি; শশী নিদ্রাহীরা 
নিঃশব্দে ঢলিয়! পড়ে অস্তাচল-পারে। 

প্রিয় মোর, জাগে। জাগে। হুদয়ের গভীর আধারে। 


সপ কস লিসপন 


২ 


বিরহিণী 


বিরহিণী মেয়ে রহিয়াছে চেয়ে পথের 'পরে। 
প্রিয়তম তাঁ"র আসিবে ফিরিয়। তাহার তরে। 

সে যে কতদিন কতকাঁল আগে 

গিয়াছে চলিয়। মনে নাহি জাগে; 
আজে! সে তাহার আশার বাণীটি হদয়ে ধ'রে, 
চেয়ে আছে ছু;টি অখি-তারা তুলি” পথের 'পরে। 


আকুলিত তা'র কেশপাশ সে যে বাসিত ভালো । 
আজো সে যে হাঁয়, তেমনি চিকণ নিকষ-কালে!। 
মিলন-দিনের ঘত আঁভরণ 
লয়ে সে করেছে দেহের বাধন; 
বিধুর হৃদয়ে বাধন কৌথায়? নাহি যে আলো৷। 
বিফল বাঁসনা ; আসে না সে আর, বাসে না ভালো । 


রাজপথে কত ফিরিছে পথিক কাঁজের শেখে; 
মিলন-আশায় চলিছে তাহারা সুদুর দেশে । 
শুধু কি তাহারি বিফল পরাণ ? 
হৃদয়ে জীগিছে বৃথা অভিমান; . 


সমেঘ আকাশে শশী ভেসে যায় মলিন হেসে. 


গগন চুমিছে শ্যামল! ধরণী বিরহ-শেষে। 


২৫. 


দীপাদ্ধিতা 


কোথায় কে যেন গাহে গান দূরে, করুণ স্থরে! 
গোঁপন ব্যথার দহনে দহনে পরাণ পুড়ে। 
একাকিনী হাঁয় কত রবে আর? 
প্রিয় যে নিল! ন। বেদনার ভার; 
বেদন আঁজিকে রোদন জাগায় বুকটি জুড়ে। 
কোথা” প্রিয়তম, তারি আশে মন মরিছে ঘুরে। 


যদি নাহি আসে, তথাপি সে হায় রহিবে চেয়ে। 
শ্বেতবাঁস পরি' দিবস কাটা'বে মলিন মেয়ে। 
হৃদয় জুড়িয়া আছে আশ! তাঁর 
আসিবে আসিবে প্রিয় স্থকুমার, 
মরণের বেশে চিরমিলনের গানটি গেয়ে। 
যদি নাহি আসে, তথাঁপি সে হাঁয় রহিবে চেয়ে | 


শীত-শেষে আজি পাতা ঝরে যাঁয় পথের *পরে 
ধরণী ধরেছে বিরহের বেশ বিরাঁগ-ভরে ! 

কালে! কেশ হ'বে শুর্ুবরণ ; 

মলিন বয়ান, শিথিল চরণ টু 
তথাপি বসিয়া বাতায়ন-পাঁশে প্রণয়-ভরে, 
জাগিবে রজনী চিরবিরহিণী অধার ঘরে । 


ও 


] 0120 
রে টি 


25171, [০ 25 রী 


পীর ক ২ 
১.৫. ক া ॥ চা ্ 
নি রি 





বিরহী 


আজিকার ব্রষায়, মন যেন কারে চায়,__ 
হাঁয় সে যে নাই, সে যে নাই! 

অবিরাম জলধারে, হৃদয় চাহিছে যারে, 

ভেবে মরি তাহারি কথাই। 

স্পর্শ তাঁর যেন আজ পবনে পবনে, 
দেহে-মনে কি মদ্দির অধীর স্পন্দনে 

অপূর্ব হিল্লোল তুলি, আনে ধীরে তা'র ভাবনাই। 
হাঁয়, সে যে নাই, সে যে নাই। 


আজি আধাটের বাঁণী ধীরে করে কাঁনাকানি 
রজনী-গন্ধার কুঞ্জ-তলে। 

কিশোর বয়স তার, সে সঁগিছে উপহার 
স্থমস্থর সন্ধ্যার অঞ্চলে! 

যুখিকাঁর পরিমলে অশ্র-অর্ধ্য দিয়া 

বিষ আষাঢ় আজি ফিরিছে কীদিয়।। 

মাটির গোঁপন ব্যথ! গ্রকাশিছে নয়নের জলে-_ 
রজনী-গন্ধার কুপ্জ-তলে। 


[২৭ 


দীপান্বিতা 


তার স্মৃতি-চিহ্ুটিরে, খুঁজি আমি ফিরে ফিরে; 

সে যে মৌর মরমের মাঝে । 

প্রত্যহের মালিকায় সে যে গেঁথেছিল তীয়-_ 

বাহিরে তাহারে পাই না যে। 

বিচ্ছেদের রিক্ত রাত্রি নীরবে আহরি” 

স্মৃতির সে মাল্যটিরে চিত্ততলে ধরি' 

আসে ধীরে মোর পাশে, রুষ্ণবেশে, মৌন, ম্লান সাঁজে। 
ব্যথা বাজে মরমের মাঝে। 


চিরন্তন অভিশাপে বিরহী রজনী যাঁপে; 
দাঁছুরী ডাকিয়া মরে দুরে। 

ঝিশ্লী-মন্দ্রে আজি হাঁয়, বিষাঁদ নীরবে ছাঁয় 
পরাঁণের অভিরাম সুরে । | 

জানি না মিলন কোথা? শান্ত প্রতীক্ষায়, 
গোঁপনে যাঁপিছে পল কি মন্ত্রদীক্ষাঁয় ? 
পথেরে সহজ করি' অশ্রু জলে মরি ঘুরে ঘুরে । 
দাঁুরী ডাকিয়! মরে দূরে । 


২৮ 





আধাঢ়-শেষে 


তরুণ আষাঢ় আজি ফিরে যাঁয় কীদিয়ী কাঁদিয়া 
ভগ্ন প্রাণে পুগ্ মেঘ-উপহার লঃয়ে। 

শুধু হাঁয় এনেছিলো ব'য়ে 

নবীন আশার বাণী, তাই গেল নীরবে কহিয়। 
রজনী-গন্ধার কাঁণে, যুখিকাঁর মু পরিমলে, 
কণ্টকিত কেয়া-বনে, পল্পবিত ভূঁই-্টাঁপা-দলে । 


মার কা'র লাগি” 

এনেছিলো কোন্‌ অর্ঘ্য স্্দুরের মীঁয়াপুরী হ'তে 
₹পিঙ্গল ঘন কেশে তীব্র হেসে ব্যাকুল মরতে, 
কহ নাহি জানে। তাই সে বিরাগী 

[চিত বেদনা তা'র দিলো মেঘে, দিলে! বরিষণে, 
[ম্পিত কদম্বতলে, পরিষ্নান রেণু”পরশনে । 


৬ 


দীপান্বিতা 


আজি তা"র যাত্রাপথে ঘন ঘন বাঁজিছে মাদল; 
বিরহীর দল 

দাঁছুরীর উচ্চরোলে ব্যথাঘন বরষানিশীথে 
বিদায়-পথিকে দিলে! ঘন অশ্রু-বাষ্প-উপহার। 
আজি তাই বিষঞ্জ আষাঢ় 

বিদীয়-বেদনা-ভরে সকরুণ গীতে, 

আবণ-সখারে তা”র ডাকি” দিলো সজ্জিত সভায় । 
তা'রপরে ধীরে ধীরে মাগি” নিলো! প্রশান্ত বিদীয়। 


কোথায় সে কতদূর শু্রশীর্ষ হিমাদ্রির শিরে, 
উত্তরের পথে, 

সঙ্গহীন দীর্ঘশ্বাসে কাঁমচারী পুগ্ত মেঘরথে, 
আষাঁট় চলিলো! ফিরে নয়নাশ্রুনীরে 

পুর্জিত বেদনা বহি" রিক্ত দীন বিরহীর বেশে, 
আজি তাঁ”র বিদায়ের আয়ৌজন-শেষে, 
কেহ নাই শুধাবার ! 

হে বিরহী, তরুণ আষাঁট, 

আঁজি মোরে কহ, ধীরে, 

কার লাগি" চলিয়াছ ফিরে 

তপস্যার আয়োজনে, বিদ্যুতের বহিজ্বীলা বহি'__ 
হে কিশোর মিত্র মৌর, যাও মোরে কহি” ! 


কৌথাঁয় সে প্রিয়! তব, যাঁঃর লাগি” চলিয়াছ খুঁজি” 
দেশ হ'তে দেশান্তরে নদী-গিরি-কন্দর লঙ্জিয়া 
অশ্রু-বা্পে শুন্যতল ভরি ! রর 

আতর বনজ-বাঁফু নব পুষ্প-সৌরও আহুরি' 


৩৩ 


দীপান্ধিতা 


তোঁমার ধূসর কেশে ম্লান হেসে দিলো স্থুরভিয়া ! 
বিশুদ্ধ প্রিক্লার লাগি' চলিয়া আজি তাই বুঝি-_ 
দুরে দুরে ঘুরে মরি, ক্লান্ত কায়ে আঁখি-জল-ধারে, 
প্লাবিয়! পর্র্বত-নদী, তবু হায়, দেখ! হ'ল নারে! 


হে চিরতরুণ বন্ধু, আজি তব বিদায়ের দিনে, 
চাি' দূর ছায়া-মলান শ্যামল বিপিনে, 
বিরহ-ছাঁয়ায় মোর ভরি” উঠে সকল অন্তর । 
শ্রাবণ আঁসিছে জানি ভরি' নদ-কান্তার-প্রান্তর, 
দিশে দিশে কলরোল তুলি? । 

নীপশীখ! নীরবে আকুলি, 

আজিকে চলিলে তুমি বারিসিক্ত বনবীথি দিয়া 
মন্থর গমনে, 

বহি" মনে মনে 

ব্যাকুল চিন্তার ভার, রহি' রহি' কীদিয়া কীদিয়া, 
বেদনার দীর্ঘশ্বাসে নিখিলের চিত্ত আকুলিয়! 
স্বল্প-পরিচয়ে, 

নিষ্ঠুর দয়িতা! লাগি” নব প্রেম নব বাণী লয়ে। 


৯ 


জন্মান্তর 


সে দিন-ও নয়নে নেমেছে স্বপন নিশীথের অনুরাগে । 
উতল বাতাস আনে সাথে সাথে হেনা স্থরভিটিরে। 
পশ্চিম নভে চলিয়া পড়েছে শশী; 
আঁধার অলকে মালিক রয়েছে খপি?। 
সে দিন কাহার আনন ম্মরিমু নব জনমের তীরে। 
ঝারা বকুলের সৌরভ সে কি কোটি-জনমের আগে ? 


_ সৌরভে স্থরে মিশে মিশে সে যে হু'য়ে যায় একাকার । 
তা"রি সঙ্গীত রচিনু বসিয়! আঁধার আকাশি-তলে। 
মনে হ'ল মোর জনম-শোতের পারে | 
একদিন শুধু লুকায়ে দেখেছি তারে। 
নব নব পটে সেই ছবি আঁকি আতুর আঁখির জলে। 
ব্যাকুল মরণ-উদধি ঘিরেছে বারে বারে চারিধার। 


দু'হাতে সরায়ে স্মৃতির আধার সেই সে যুগের পারে, 
পথেরি মায়ায় একাকী চলিনু সুদুর স্বপন-দেশে। 
নির্বর-গাঁনে হিম হয়ে যায় দেহ, | 
সারা প্রাণে মৌর ঘুচে যাঁয় সন্দেহ; জা 
সেই ঝাঁউ-বন-ছাঁয়ার ওপারে আসিনু পথের শেষে 
বিরহিণী বীণা! বাঁজে শুনি কা?র কোটি-জনমের পারে; 





৩২ 


দীপাদিতা 


সেকি স্থুরে স্থুরে শুধায় আমীয়, তুমি যে এসেছ পথে ! 
কাণ পাতি শুনি কাঁদে ঝাউবন দেবদীরুসনে মিশি' । 
আবার শুনিনু, ভুমি যে এসেছ পথে ;- 
এ বন-ভবনে আমি আছি কোনোমতে । 
বীণাঁরে সাজাই অশ্রুর হারে; সাথে জাগে মোর নিশি । 
বাতায়নে তব বারতা পাঠাই অলক্ষ্য মনোরথে । 


আজি কি তোমার মনে পড়ে প্রিয়, সে দিন বরষা-রাতি। 
তোমারি লাগিয়া বাহিরিনু পথে অভিসারিণীর বেশে ; 
চর্ণ-নুপুর বেজে যায় পথে পথে। 
ন্বপ্ত নগরী; শিথিল শিথান হ'তে 
কেহ জাগে নাই। বন-বিহাঁরিণী কুরঙ্গীসম শেষে 
তোমার ভবন-ছুয়ারে আসিনু । জ্বলিলো বাসর-বাঁতি।” 


সহস! চকিত মরমে আমার জ্বলিলো! স্মরণ-শিখ| । 
--নব বারি-ধারে সিক্ত কপোল; শীতল সে তনুখানি ; 
নুপুর বিমরি আমি” সে বরষা-রাতে, 
ভীত হাতখাঁনি রেখেছিলে। মোর হাঁতে। 
কুলায়-শরণা বিহগীর মতো কহি' অস্ফুট বাণী 
কণ্ে জড়ালো বাহুর মালিকা-_যেন নৰ শেফালিক ! 


কীদে বাউবন অসহ ব্যথায়। দেবদার ছুলি” মরে । 

স্তব্ধ নগরী। পথে পথে কাঁ”র কাশরী ঝুরিছে ফিরে । 
আজো মনে হয় কোটি-জনমের আগে, .. 
সেই সে দিনের স্বপন নয়নে লাগে । 

মনে প'ল কণার চুমিনু অধর প্রথর শিপ্রাতীরে। 2 

সে যেন আজিকে নীরবে এসেছে মৌর বাতায়ন 'পরে। 


দীপান্ধিতা 


কহিছে সে যেন, হায় হায় কবি, আজে। কি পড়ে না ম 
সেই নদী-তীর, নারিকেল-বীথি, শুভ্র পথের রেখা! 
নব ছূর্ববার আসন বিছবীনো ঘাঁটে। 
তা"রি "পরে বেলা! প্রহরে প্রহরে কাটে। 
সোপানে সোপানে অতুল চরণে নামিত কে একা-একা|! 
কলসে কীক্‌ণৈ মধুর_গড়ে না কি তারে মনে 
বত ধুর ? 
মনে গ'ল মৌর গোধুলি-ধুসর প্রদোষ-তিমির-তলে, 
কে যেন কীদিছে নত করি' মুখ বেদনা-শিখায় জ্বলি' ! 
দু'হাতে তুলিতে কাতর সে মুখখানি, 
জাগে মনে হাঁয় কোটি-জনমের বাণী। 
মান দীপালোকে মনে ছল আজ এসেছি কুসুম দলি! 
ঝলসি' উঠিছে আনন কাহার তপ্ত বিরহাঁনলে। 


এই ধরণীর শ্যামল ধূলীয় সে যে বধূ হ'ল মোর। 

কত দূর হ'তে ভেসে খসে এলো! একটি করুণ অণু। 
লাল চেলি পরি এলে! সে জীবন-সাথী। 
আ'চল-আড়ালে আনিলো বাসর-বাতি 

আনিলো! মধুর বাসনা-সৌহাগ মীনকেতু-ফুলধন্ু। 

স্নান দীপাঁলোকে পরশি' চিবুক ভুলি জীবনের ডোর। 


আজিকে উতল পথের বাতাস হেনা-সৌরভ লুটে । 

মনে হয় আজি বাধা গাল প্রাণ শত জনমের কাছে। 
যে কথা ভূলেছি কোটি-জনমের আগে, টি 
আজো! সেই বাণী বাসনা-পরশে জাগে । 

চুন্ঘনে যবে অশ্রু মুছ্বাই, ভাবি ভালোবাসিয়াছে, 

গতদিবসের প্রীতি-বন্ধন স্মৃতি হয়ে জেগে উঠে। 


৩৪ 


দীপান্বিতা 


তাই বসি' বসি" স্বপন দেখি যে শ্যামা ধরণীর কোলে, 
উত্সব-শেষে মাঁলিকার মতো মান হ'য়ে উঠে মন ! 
গগনে গগনে যারা করে কাণাঁকাঁণি, 
তারা নিয়ে আসে জনমান্তর-বাণী। 
হরের স্তরধায় “সীরভ মিশে,__মনোহর জাঁগরণ। 
£বন-বলভি-শিখরে তাহার মূরতি পরাণে দোলে। 


পপ 


৩৫. 


পথ-মায়া 


পথিক-হৃদয় ধীরে ধীরে কয়, যৌজন পথের শেষে 
ফেরে কা*র উদ্দেশে ? 
শীত-নির্বর গীত গেয়ে যায়; রৌদ্র মলিন হেসে 
গুধায় আমায়, কা'র তরে ফেরো৷ এমন উদাস-বেশে ! 
খুঁজে নাহি পাই কথা; 
ভাবি মনে, একি অকারণ আকুলতা ! 
গোপন মরমে ক্ষীণ বাঁণী রহে জাগি'_- 
পথ চলি হাঁয়,_উদাসী বিধুর প্রেয়সী নারীর লাগি? । 


প্রতিটি দিনের বেদনা শুধায়__জীবন আঁধার হ'লে 
কা'রে চাও পলে-পলে ? 
নীরব গহন বন্তলে চলি; মন যে চলে না আর; 
সবে ডাকি' কয়, পরাণ ভরিয়া কেন এত হাহাকার ! 
যা'রে চাও, তারে লহ” 
ন্ঠির বেদনা কেন বা এমনে বহু” ? 
সারাটি হৃদয়ে এক বাঁণী রহে জাগি'_- 
পথ-চলা মোর স্থদুর মধুর প্রেয়সী নারীর লাগি" । 


৩৬ 


দীপান্বিতা 


চারিপাশে জাগে মহ'কলরোল ; জীবন-তটিনী ঘিরে 
কালের নটিনী ফিরে। 
মৃদ্ুভাষে তাঁ"র ব্যথ। ভোলে. প্রাণ, তবু যেন সে কি চাঁয় 
ঘরের উদাসী ঝড়ের দোলায় পথে পথে বাহিরাঁয়। 
কীপে দেহ-হিন্দোল ; 
অন্তর আজি উতরোল উতরোল! 
ধ্রবতারকাঁর প্রভা তবু রহে জাগি'__ 
শত বন্ধন-ক্রন্দন মাঝে প্রেয়সী নারীর লাগি" ! 


আতুর হৃদয় ধীরে ধীরে কয়, আজি বেলা হ'ল শেষ; 
বিফল স্থুরের রেশ । 
গগনে গগনে জ্বীলা নাহি রবে; সন্ধা ধূসর-দিন। 
উর মরুর শেষের সীমায় বাজিবে জীবন-বীণ ; 
শুন্য সে পথ "পরে 
দীর্ণ হিয়ার বেদনা ঘুরিয়। মরে ! 
মধ্যমণি সে বাঁসন। রহিল জাগি” । 
এখ চলি' হায় উদাসী বিধুর প্রেয়সী নারীর লাগি” । 


সপাসিপিপীপাসাসপস 





লতাময়ী উর্বশী 


[ বিক্রমোর্কশী ] 


কুমার-কীনন-তলে উর্বশী সে- স্বর্গের অগ্লরা, 
স্বুকঠোর অভিশাঁপ-লীনা । 

নন্দন-বনের ছায়ে প্রিয়াহীরা ফিরে পুরূরবা,_ 
অশ্রম্মানদৃষ্টি, উদীসীন। মিলনের স্তব্ধ বীণা, 
শূন্য শষ্যা, দীর্ঘতর। চন্দ্রিক! রজনী, 

শুষ্ক শীর্ণ সুগন্ধি মীলিকা, 

প্রেমী ষা-গুপ্জহীন পরিচিত বকুল-বীথিকা 
স্বগ্নসম ভাসিছে অন্তরে । ফণী যেন শিরোমণি 
ফেলেছে হাঁরায়ে। তন্দ্রীহতা বিশীর্ণ-পল্লবা, 
অরণ্যবন্পরী প্রিয়া, নহে নহে চিরমধুক্ষরা। 


মায়ার উর্ববশী সে যে, কতু ফিরে উষার আননে, 
ধুসর রক্তিমবাসা পূর্বাকাশতটে 

মহেন্দ্র-বাঁসরে কু স্তনাংশুক-সরম হাঁরায়ে 
নৃত্য করে ছন্দময়, ফাল্গনীর প্রেম-ভিথারিণী, 
মদির-লোচন নারী। আজি মর্ধ্যে তাহার নয়নে 
বিচ্ছেদের প্রেমবারি ধীরে ধীরে তুলিলো ছুলায়ে . 
সে কোন্‌ মারাবী নর? তাই মেষে লতা-_্চারিণী। 
শিশির-মাজ্জিততনু, কাননের শ্যাম চিত্রপটে ; 
লীলাময়ী উঠেছে ফুটিয়।। 


৩৮ 


দীপান্ধিতা : 


স্তব্ধ ঘন কুমার-কাঁনন, 

বিহগ ফিরিছে একা? প্রিয়! নহে চক্ষুর গোচরা। 
করুণ রোদনে তার মাঝে মাঁঝে কাপে বনম্থলী ! 
পুষ্প নাঁহি--ফল নাহি; বিরহের দীর্ঘশ্বাসভরা 
তপগ্র্লিষ বনম্পতি। প্রেমভাঁষ! ভূলেছে সকলি; 
শুধু রুদ্ধ অন্ধকার হোমধূমে পুঞ্জিত গগন । 


সেথা সর্ববসীমন্তিনী লতা হ'য়ে মেলিছে পল্লব; 
অপূর্ণ মুকুল-স্তন-স্তোক-নসরা, স্পর্ণ-গুষ্টিতা-_ 
তনুর লাবণ্যমধু শ্যাম শোভা দিলো! বিস্তারিয়া 
সর্ব অবয়বে তা'র। সেখ! আজি তুলে কলরব, 
বিশ্বের বিরহী যত। ব্যথাতুরা নীরব-কুষ্টিতা 
র্ণীর দল দীর্ঘশ্বা ফেলে; 
আর্ পত্রদল মেলে 
ইঙ্গিত জানায় ধীরে সমীরের পরশে ছুলিয়া। 


ইজিত-মর্্মকথ গন্ধবহ উদাস নিঃশ্বাসে. 
” চলে দেশান্তরে নদী-গিরি-কন্দর লঙ্জিয়া 

৭ তৃণে পরশ বুলায়ে। সর্বব্যাপী ছায়া তাঁর 
লয় সন্ধানের আলোকের রেখা । ব্যথাভার, 
কারে ফেনারিত সমু্ল নীল সিডুগদ, | 
টঠে তরলিয়া | | 





দীপান্থিতা 


শীন্ত অনুপম ্‌ 

প্রিয়ার মোহন ছাঁয় স্ুদুরের স্বনীল আকাশে, 
ক্লান্ত নেত্রে ক্ষণিকের দাহ পাঁসরিয়। 

হেরে ধীরে প্রতিষ্ঠান-পতি। 


তমাঁল-বনের ছায়ে, 

শ্যাঁন পত্র-পল্পবের "পরে, উষাঁর মৃদুল বায়ে, 
কুম্মের হৃষমা-সন্তারে প্রিয়ার আঁননখানি 

দীর্ঘদিন গিয়াছে মিশিয়।। 

সন্ধানী বিরহী আজি রহস্যের ধার ভেদিয়! 

হেরে সবি প্রিয়ীময়; সর্ববহ!রা খ'ঁজে পেল" বাণী! 


তারপরে একদিন বসন্তের আঁবেশ-হিল্লোলে 
সৃতিকাঁর দেহ "পরে চঞ্চলের চলিলে। রন্দন । 
ব্যথাতুর পুরূরব৷ ছেরে দূর কুমার-কাঁননে 

প্রিয়া যেন লত৷ হ'য়ে দোলে-- 

নিবিড় স্যমা-মাখা। গসারিত করতল 'পরে 
ঝরিলো ম্ভারী ছুটি । ছুই বিন্দু অশ্রু থরে থরে 


শোভিলো মণির মতো। প্রেমভাতি জাগিলো নয়নে. 


অশ্লান কোরকে তা'র রাখি দিলো প্রথম চুম্বন 
আদি নর, আদিম বিরহী । 


৪৪ 


4১2২৯ 5 ৬০ 


দীপান্ধিতা 


বাঁছিরিয়া এলো নারী, 

লতিকার শ্যাম দেহ ছাঁড়ি। 

বেপমাঁন তনুখানি শোঁভে যেন কোরকের মতো । 
শ্যামলী, স্ন্দর-দেহা ; সাঁরা পৃথথী স্তবগান-রত ! 
দু'টি কর্ণমূলে তা"র। প্রসন্ন আনন৷ 

চাঁছিলে। ফিরিয় ধীরে মায়াস্তন্ধ প্রিয়ের আননে। 
বারেক চাহিলে! ধীরে শ্মিতহাস্যে নগ্ন দেহ *পরে, 
পল্পরাঁগ-রক্তিম উরসে। তারপরে দে ভরি, 
তুলিয়! তরজখানি, ফিরে এলো৷ ত্বরিতগমন৷ 
প্রিয়ের বাহুর পাশে । সরমের নিগড় পাসরি' 
আলোকের শুভ্র বন্যা ছেয়ে গেলে। সারাটি ভুবনে 
বিধাতার আশীর্ববাদসম ! 

উঠে জাগি” থরে থরে 

সৃষ্টির প্রথম পুষ্প পুর্ণ ছু'টি অন্তরের মাঝে । 
বিধির নবীন গান ছু'টি দেহ-বীগাঁযন্ত্রে বাজে 


পলক 


ক 0৮ 





তিলোত্তমা 


নব-নবতর পে বিধি তোমা স্থজেছিলে! জানি 
আপনার মন-মতে। করি । 

ধরার শ্যামল অঙ্কে” মরণের দীপালি-উৎসবে, 

সে রূপ হেরেনি কেহ। মৃত্যুর অতীত মহাঁবাণী, 
নবীন মোহিনীমন্ত্র দীর্ঘায়ত নয়ন-পল্পবে, 

চিক্ধণ চিকুরজালে বজ্গর্ভ মেছচ্ছায়াখানি 
ভবালাময়ী বূপব্ছি বিশ্বধাতা মহাধ্যানে ধরি' 
অপিলে! তৌমারে। 


কত মাস বর্ষ দিন 

গত হয় মৃত্তিকাঁর ধরণীর বুকে ! 

অশ্রুর আষাঁঢ আসে বিরহের আর্ত অন্ধকারে 
মন্ত্-মানবের নেত্রে। জানি তব গর্ববোজ্জবল মুখে 
নাহি সে বিষাঁদ-রেখা। স্ধান্নাত নির্মল ললাঁটে 
বিচ্ছেদ-শঙ্কার ছাঁয়া লিখে নাই মলিন লিপিকা। 
প্রাভাত-সধগারসম,_অনাদির ইঙ্গিত-গীতিক। 
স্থনবীন নগ্নদেহা উঠেছিলে ফুটে ! 


৪৭ 


দীপান্বিতা 


আজি ধর! একান্ত প্রবীণ ; 

কত গাঁন, কত হাসি রুদ্ধ হল অঞ্রজলধারে । 

কত রূপ, কত রস ম্লান হ'ল, শু হ'ল ধীরে; 
আজো যেন মনে হয়, আছ তুমি মন্দার-মালিকা,__ 
অম্লান নন্দন-গন্ধা। বক্ষতল-ক্মল-কলিক 
আজে! নহে পুর্ণ বিকশিত। মন্দাকিনী-তীরে-তীরে 
যৌবন-বিকাশছন্দে কমনীয় তনুর সপ্তারে, 
মহাঁকাল-ভ্রভঙগীরে ফেরো৷ উপেক্ষিয়!! 


গগনের শশী, 

তোমার মুখের "পরে চাহি” রহে নিমেষবিহীন। 
তারাদল, 

অনন্ত অকাঁশ *পরে তারুণ্যের বেদনা-বিহ্বল ! 
যেন রাত্রি-দিন 

প্রন্ফুট ওষ্টের বাঁণী চাহে শুনিবারে ; 
স্থচির-মৌনতা তব তুলে চঞ্চলিয়া 

নিখিলের জীবজোত। তব প্রেম অতল-পাথারে 
দিশাহারা কোটা-কোটা প্রাণী । 


হেরে কবি, অবিরাম উঠিছে উচ্ছসি' 
সাগর-তরজসম ক্ষুব্ধ ক্ষন চঞ্চল জীবন ; 
অঙ্গের স্থুরভি তব, মুকুলিত অন্ত যৌবন, 
স্রিত হাঁসি, রক্ত বিদ্বাধর, ৩, 25 লো 
বিশ্বব্যাপ্ত মহাঁমোহে আন্দোলিছে দিলি তা 
বাণীহীনা, দীর্ঘ দিন হেরিতেছ সম্মত নয়নে 


যুদ্ধ চলে তোমা” লাগি” দেশে দেশে গৃহের রা রো র্‌ 


8৩. 





দীপান্বিতা 


পুত পুশ্জ মৃতস্ত.পে ছেয়ে খাঁয় বিরাট ভূবন! 
সংগ্রাম-সংক্ষোভে তাই স্তৃভীষণ শবের মাঝারে, 
জয়ী-জন__-নতজীনু নিগীড়িছে তব কটিদেশ ! 
ভঙ্গীহীন, রেখামুক্ত, চির নব বেশ, 
অকম্পিতা, মাঁল্য দাও তারে; 

নীরবে বন্ধুর-দেহ! ফেরো গৃহে স্থমৌন-আনন ! 


জানি তুমি 

প্রিয়তম-করতল চুমি' 

শ্যামলী-লতিকাঁসম শোভ' নাই সংসার-প্রাঙ্গণে, 
নব স্েহাঁঞ্জনে 

নয়নের দৃষ্টি তব ছায়াসম নহে যে কোমল; 

শিশুর কাঁকলী-গাঁন পশে নাই তোমার শ্রুবণে, 
আজি হেরি ধরার অঙ্গনে 

সহস! উঠেছ জাগি" দীপ্তিঝলমল,_ 

রৌদ্রলীলা, কালানল-শিখা, 

বিশ্রাম-রাত্রির ভালে রক্তময়ী পুর্ণা বিভীষিকা, 
সংগ্রামের অধিষ্ঠাত্রী রাণী ! 

নহ" শুধু কামনার পল্সদলাসীনা, 

কন্পনা-স্বরগতলে চিরস্থির নহ" গতিহীন| 

নহ" যে কল্যাণী! 

যোদ্ধার হৃদয়-লীনা, সৈনিকের জয়লন্ধ ধন, 
চিরমৌনা, আঁজি হেরি তোমা” লাগি' চলিছে লুঠন 
ধরার অঙ্গনতলে ; আনো অমা ; নহ” তাই রমা 
ধাতার অপূর্ব সষ্ি রক্তান্বরা স্ুর-তিলোন্তম। ! 





৪৪ 


রমা 


সাগর-মস্থন-দিনে বিক্ষৌোভিত সিম্ধুবক্ষতলে, 
স্বরাস্থর-বাঁসনার বিহসিত শ্বেতামুজ-দলে, 
আরক্ত পল্লব-পদ সমর্সিলে কবে ? 
আজি ভাগ্যনভে 
করাল প্রলয়-ঘন ছেয়ে যায় বিস্তৃত জীধার 


দারিদ্র্যের বিভীষিকা, আতুরের আর্ত হাহাকার, . 


অজ শোঁণিতগ্লীবী লৌহুবান্ু নব সভ্যতার 
আ্ফীলন-মন্থনের রক্ত-মহোঁৎসবে, 

অয়ি রমা, দীড়াইবে জীবনের ক্ষতের আহবে, 
,শীল্ত শ্মিত মুখে 


প্রলুন্ধ, রয়েছি বসি' দিন গণি” স্পন্দমান বুকে | ন্‌ রঃ 


৪৫. 


দীপান্বিতা 


চঞ্চল, আঁজিকে তব অঞ্চলের ছাঁয়াম্পর্শখানি 

কোথাঁয় মিলায়ে গেছে পা রৌদ্রে আপনায় টানি 
জীবনের স্তরে স্তরে রেখে গেছে তার 

অভাব-ধিক্কার ! 

চেষ্টা তবু রয়ে গেছে, প্রীণপণ ভীষণ প্রয়সি। 

_ ক্ষুধার সংগ্রামে তা'র পলে পলে হ'ল সর্ববনীশ ! 

মরণ-সাঁগরমাঝে বেদনার ফেনিল উচ্ছণদ 
আঘাঁতে-আঘাতে তবু শেষ নাঁহি হয়। 

ফিরে ফিরে আসে জানি রোগ শৌক-নিন্দীগ্রীনিময় 

অযি রমা, দীড়াইবে জরা-ক্ষয়-ক্ষীণতায় কৰে ? 


স্বর্ণগর্ভা ধরিত্রীর স্নেহশ্যাম কুঞ্জীবনছাঁয়ে, 
হে ক্ষণিকা, ধীরে ধীরে আপনারে দিয়েছ বিলা+য়ে ; 
হিরণা অঞ্চলটিরে ছুলাইছ হাঁসি? ; 
পুষ্প রাশি রাশি 
অমনি উঠিছে ফুটি” প্রাচ্যের নব আয়োজনে । 
বিমুক্ত ভাণ্ডার দ্বার লক্ষপ্রাণী আনন্দ প্রাজণে 
ছুটিছে ব্যাকুল বেগে__দিশাহারা প্রীণসদ্িক্ষণে, 
মহান্‌ কল্যাণবাণী উচ্চারিছে ধীরে। 
পরক্ষণে হেরি সবে নতনেত্রে ভাসে অশ্রুনীরে। 
দিগন্ত রণিয়া উঠে। ধ্বনি" উঠে বেদনার রোল। 


৪৬ 


দীপান্ধিত। 


বিচিত্রা, আজিকে তব নানারপে পেয়েছি সন্ধান, 
হিরগরয় প্রেমপাত্র প্রেয়সীর চির মধুমান্, 
সপর্শ রাখে রোগতণ্ত ললাঁটের *পরে। 
কত ন্েহ-ভরে) 
জননীর শীন্ত নেত্রে হেরিয়াছি তোমার প্রকাঁশ। 
পেয়েছি বেদনা-ক্ষতে প্রলেপের স্স্সিগ্ধ আভাস। 
নারীর কোমলবক্ষে বাঁধিয়া মৌন স্তৃপ্ত বাস, 
পালনের স্থুধ! বহ' দিগৃদিগন্তর-__ 
কমলা, তোমার স্পর্শে শ্বামশস্পে ভরিছে প্রান্তর ! 
এ বিশ্বের অমা, 
ভবিষ্-সাগর-মন্থে নাশি” কবে দড়াইবে রমা ? 


ঘি 


মৈত্রেয়ী 


প্রশান্ত প্রভাতে আঁজি বিহগের কীকলী-কল্পোলে 
হে কল্যাণী নারী, 

তোমার নির্মল শান্তি, গ্লানিহীন স্গিগ্ধ আশীর্বাদ 
আনন্দ বিথারি” 

পুর্ণ করে জীবনের ক্ষয়-ক্ষতি-ভাবনা-লাগ্থন৷ ; 
মুক্ত নীলাকাশে, 

জ্যোতির্ময়ীবেশে আজি দাড়ায়েছ সম্মুখে আমার; 
_নেত্রে দীপ্তি ভাসে। 


সে কোন্‌ আদিম যুগে অরণ্যের হোমপুতছীয়ে 
সন্ত বর্দমান 

সুনবীন সভ্যতার ক্রেদরিক্ত নির্মল প্রাণে 
তব পুণ্য গান 

উঠেছিলো নাহি জানি__পুর্ণতম সাধনার বাণী 
আপনার বেগে ! 

সে জ্ঞান-সাগর-তীরে তুমি নারী ছিলে উদ্ধমুখে 
দীর্ঘরাত্রি জেগে । 


৪৮ 


দীপাছিত! 


নিদীঘ-জড়তা-শেষে নীল নভে প্রাণবাঁরি-আশে 
চাতকের সম, | 

সংসাঁর-মরুর পথে অম্বতের স্থতীব্র পিপাঁসা-- 
কমনীয়তম, 

নীরবে বহিয়! ধীরে ক্লান্তপদে সগৌরব-শিরে 
অয়ি তেজস্িনী, 

নারীর মহিমা-বাঁণী মুক্তকণ্টে করেছ প্রকাশ 
অজ্ঞান-নাশিনী ! 


চাঁহ' নাই ধনজন যশমাঁন বিভব-বিলাস 


জীবনের পথে; 
বিরাট অতৃপ্তি তব বুভুক্ষিত ক্ষুদ্রবক্ষোমাঝে 
ছিল কোঁনৌমতে ; 
অঙ্কুরজনম-শেষে সংসারের বস্তর সম্ভীরে 
মীথ! করি নত 
রহে নাই। বহে নাঁই জীবনের বিপুল গ্লানিরে 
নীরবে সতত । 
ব্রঙ্গজ্ঞানছায়াতলে প্রাণগতি এনেছ বহিয়! 
হে প্রদীপ্ত। নারী, 
পরিপুর্ণ প্রেমবলে যুক্তবাঁণী করেছ প্রচার 
সৌন্দরধ্য সর্চারি, ! 
মানুষের রোগক্ষীণ ব্যথাদীর্ণ পঞ্জরের তলে 
চিরন্তন বাণী নি ৰ 
আপন জীবন দিয়া শীল্তনেত্রে মেগেছ নীরবে 


হে চিরকল্যাণী! 


৪৯ 


দীপান্ধিতা 


সরস জীবনরূপ কঙ্কালের রিক্তবক্ষ-মাঝে . 
হয়ে যায় শেষ। 

ঝরে ফুল; পড়ে পাতা; আসে মৃত্যু দীর্ঘছায়। ফেলি'_ 
নাচে যে মহেশ ! 

এ চির-মৃতের বুকে অমৃতের আনন্দ-উৎসব 

তব ধ্যানলোকে 

ফুটেছিলো ধীরে ধীরে । করেছিলে মানস-সন্ধান 

অসীম পুলকে ! 


আজিকে তোমার রূপ ভারতের নারীশক্তি-মাঁঝে 
হে তাপস-রাণী, 

হেরিতেছি ধ্যানে মোৌর,_ প্রভাতের আনন্দ-অ লোকে 
ধীরে দিলে আনি । 

অপসারি' জড়তার গতিহীন ব্যর্থ স্তুপভার 
সত্যের আলোকে, 

সে শক্তি উঠিবে জাগি” মহারাজ-রাজেশ্বরী-বেশে 
পলকে পলকে । 


প্রাণহীন অবরোধ, শুচিহীন গুণ্টনের তলে, 
সংকীর্ণ জীবন, 

জ্ঞানহীন রুদ্ধগতি টানি” চলে শীর্ণ দেহভার 
বরিতে মরণ। 

পঙ্ষিল প্রাচীর ভেদি' পশে নাই দীপ্ত ূর্ধ্যালোক : 
রোগ-বীজাণুর 

ক্ষমতা বাঁড়িয়া চলে । চলে ধীরে তাঁগুব নর্ভন 
উদ্দাম শ্থাঁণুর। 


দীপান্বিতা 


সে মহাঁপ্রাকার 'পরে জীবনের উন্মস্ত কল্লোল 


বাঁধাবন্ধ টুটিঃ 

আসিছে-_হেরেছি তা'র মহোদ্দাম সুন্দর স্বরূপ 
উঠিয়াছে ফুটি” । 

প্রথর পিপাস! তৰ রৌদ্র-দীপ্ত সিন্ধু-সিকতায় 
খুঁজিয়াছে পথ । 

আজিকে টুটিছে বাধা__ঘুচে যাঁয় মৌহ'জড়তীর 
অচল পর্ববত | 

সত্যজ্যোতি-অমৃতের দীপ্ত বাণী করেছ সন্ধান; 
পেয়েছ উদ্দেশ । 

আত্মার আলোকে তারে বিশ্বমুখী হেরেছ নীরবে; 
ক্ষয়-ক্ষতিলেশ 

সহ” নাই। রহ" নাই প্রেমহীন অচল বন্ধনে 
অয়ি জ্যোতিশ্ময়ী, 

নিশ্চল তিমিরমাঁঝে আলোকের মুক্তবাঁণী ক?-- 


প্রেম__চিরজয়ী। 


১ 


বধা-মখা 


হে গম্ভীর, 

আজি হেরি নভতলে তব বেগ,__উদ্দাম, অধীর । 
একান্ত নিঃশব্দ তব পুগ্ত পু্জ বিপুল সঞ্চার 
স্থকৃঞ্ণ নিবিড় ঘনে ছেয়ে দিলো অন্বর-আধার ! 
তিমির-রাত্রির মাঝে দিগঙ্গনে ডম্বরু তোমার 
প্রাণে মোর ব্বনে অনিবার। 


আমার পরাণ-শিখী আজি হেরি করিছে নর্তন ; 

তব গুরু-গরজনে বনে বনে নামিলো বর্ষণ ; 
দেবদারু-তরু-শিরে প্রাসাদের শিখরে শিখরে 

বিপুল ঝর্ার বেগে কলশব্দে ঝর-ঝর ঝরে; 
সুরের শ্যামসীমা লুণ্ড করি” শব্দিত সঙ্গীতে, 

বিরাট এ স্বপ্নপুরী মুছি; দিয়া একটি ইঙ্গিতে 

নেমে এলে! তব অনুচর 

প্রাণে যে ফুটিলো কেয়া, মেতে উঠে অন্তর-গ্রান্তর ! 


৫২ 


শীপানিতা 


নীলাভ্রের আখি *পরে টানি” দিলে স্থুশ্মাম অঞ্জন 
নয়ন-রঞ্ীন ! 

বিচিত্র এ ধরণীর নানা ছন্-শ্রীস্ত কোলাহল 

একটি নিমেষ মারে মুছে দিলে; করিলে নির্মল ! 
আমার এ হিয়াখানি মুছে দাও প্রার্থনা আমার ;__ 
হে বাঁদল উদ্দাম, ছূর্ববার ! 


্লন্ত নগরীর বুকে বহে তীব্র পুরব-বাঁতাস-__ 

যেন তব ব্যাকুল নিশ্বাস! ূ 
হে প্রেমিক, শ্রীন্ত বড়,_চিত্ত মোর তৃষাঁয় বিকল ! 
কমগুলু হ'তে তব ঢালো৷ ঢালো৷ করুণা-শীতল 

সরস, সরল, স্সিগ্ধ শীস্তি-বারিধারা ! 
নীর-সমারোহমাঝে আমি আজি হ'ব দিশাহারা ! 
ধরারে করিছ শ্যাম প্রাণদাতা তুমি হে বাদল! 
শ্ান্তিহীন তাই অবিরল 

চলে তব স্ৃষ্টিলীলা পল্পবের কোমল জীবনে । 

তাই ক্ষণে ক্ষণে 

মোদের কঠোর চিত্তে লাগে তব চকিত পরশ, 
অসৃত-সরস ! 


কা'র আশীর্ববাদ-রূপে নিত্য তুমি ঝরিছ দেবতা 
শুনি কার কথা, 

তোমার কর্মের পথে রর দা? 1. 
খেলিতেছ চিরন্তনী খেলা! ৃ 


দীপান্বিতা 


তাহাঁরি কোমল স্পর্শ আজি যেন করি অনুভব । 
প্রশী্ত নিশীথে তাই নিঃস্তন্ধ, নীরব 

বসে আছি বাতীয়ন-পাঁশে ! 

তুমি আজি সঙ্গী মোর; আজি তাই ভাসে 
তোমীর সঙ্গীতধ্বনি অন্তরে আমার । 

আজি প্রিয়, চিত্ত মোর তব সাঁথে করে নমস্কার । 


৫৪ 


শুরু! একাদশী 


আজি তুমি এসে৷ মোর পাশে! 

ক্রি আখি-পাঁতে মৌর স্থুরভি-নিশ্বীসে 

বিশ্রাম নামিয়া আসে স্থকোমল পরশে তোমার। 
তাই আজি কহিতেছি, কথা কও, এসে! একবার, 
এসো পাশে, এসো প্রাণে, এসো মোর সকল জীবনে, 
বেদনা-বন্ধন টুটি ধীরে এসো মনোবাতায়নে ! 


ওগো! শুরা রজনীর একাদশী তিথি, 
হৃদয়-প্রীঙ্গণ তলে তুমি মোর প্রশীস্ত অতিথি। 
মুদে আসে শ্রান্ত আখি । নবীনের আবাহন নাহি। 
আমারে করিও ক্ষমা । এলে যদি চিত্ত-তট বাহি”, 
বাহিরে আসিলে ধীরে রূপ ধরি” মলিন আলোকে, 
কহ তবে, অকারণে, কিসের পুলকে রর 
কীপে প্রাণ, কীপে দেহ, টুটে আসে মোহমায়/"ঘোর ; 
মনে হয় ছিন্ন করি ধরণীর স্েহ-বাহু-ডোর, ্‌ 
কোথা” যেন যা*ব চলি” ! : 
বাদি বাহ তাই নল 


দীপান্বিতা 


কত কাল, কত দিন ধ'রে, 

হে পথিক, চেয়ে আছি অনন্ত তোমার পথ 'পরে। 
বক্ষ মোর ছু'লে উঠে ভয়ে; 

চিন্তা যায় কোন্‌ বাঁণী কয়ে, 

মনে হয় হবে দেখা-_ 

এমনি স্বপন-রাঁতে রূপালির রেখ 

চিন্তে মোর হ'বে আঁকা ! ছিলে! মোর জানা, 
আসিবে দিগন্ত ব্যাপি"; ছু'টি সিদ্ধ স্থকোমল ডানা 
প্রসারিবে ধীরে ধীরে-ন্ধ্ যেন শ্রান্ত পৃথ্ীতলে-_ 
হে মৌন সুন্দর জ্যোতি, স্পর্শ দিবে চিত্ত-শতদলে | 


কীপে প্রাণ দীপশিখা সম; 

তোমার আননে চাছি” নিদ্রা নাই নেত্রপ্রান্তে মম। 
একীব্যাপ্তি! একী শান্তি! কী প্রসার, কী মহিমা” ছা? 
অপূর্বব বিরতি-মাঝে স্বুমহাঁন সাস্তবনার কাঁয়া ! 

নাহি জানি কি যে তার ভাঁষা__ 

প্রতিক্ষণে সুর তা"র প্রাণে মোর করে যাওয়া-আসা! 


কৌঁথাঁও বন্ধন নাহি, দৈন্য নাহি, নাহি চিন্তা-লেশ; 
অনায়াস-মুক্তগতি যেন লঘু চীনাংশুক-বেশ! 

ছেয়ে যায়, ভেসে যায়_দিয়ে যাঁয় শীন্তিরস-ধাঁরা ! 
বর্ণ-গীতিরেশ আনে। তাই মোর চিত্ত হল হাঁর! 
তোমার সঞ্চার-মাঁঝে হে উদাসী, শুক্লা একাদশী, 
আকাশ-প্রীস্তর-তলে কোন গান গাহো। একা বসি, ! 


৫৬ 


_দীপা্ধিতা 


আজি তুমি এসো মোর পাশে, 

গপররিয়া কহ ধীরে বসন্তের বিদায়-বাভাদে, 
কহ' মোরে, বাসি ভালো! ধরণীর শ্যামাবগুষ্টন, 
দিশাহারা প্রসারের তাঁই আছে চকিত বন্ধন, 
বনানীর পু পুঞ্জ তরুবীথি-শিরে। 

তাই পৃথিবীরে. 

নীরবে আবরি' রহি। কহি কত কথা 
অর্থহীন কলোচ্ছণাস প্রণয়-মত্ততা 

নাহি তায়_শুধু আছে ধীরে সপে দেওয়। 
আপন সর্বস্ব দিয়ে প্রেমিকের প্রসন্নতা-নেওয়। ! 


তাই আজি চেয়ে আছি। হে চক্দ্রিকা, অয়ি বিমলিনা 
চেয়ে তব মুখ-পানে, আজি আর বলিন। বলিনা,- 
হৃদয়ের যাত্রাপথে নাহি মরু উর, ধূসর ! 


দিও 
. শেপ নিছে) ই 
- ১প রর 






চোখ, গেলো 


চোখ, গেলে কার, কোঁন সে জনার, 
কেমনে চিনিব তারে ? 
সে কি অশরীরী--আঁসে ধীরি ধীরি 
মন-তটিনীর পারে ! 
সেকি বহি আনে বূপ-সাগরের তীরে, 
বিফল আশার বেদনা নয়ন-নীরে ! 
কোন্‌ ভাষ! বলে বারে বারে, ফিরে ফিরে, 
হৃদয়-কুপ্জ-ঘারে! 
কেবা সেই জন-_হাঁরালো নয়ন, 
কেমনে জাঁনিব তা'রে ? 


মু কুহু-ভীঁষে, যে বিহগ আসে 
মন্ী কু্ঈ-তলে, 
সে নহে এ জন; ইহার নয়ন 
ভরিছে অশ্রুজলে ! 
যে আলে! দেখেছে মেলিয়া নয়ন ছু'টি 
পক্ষ প্রসারি' দূর মেঘলোকে উঠি” 
দে আলো রয়েছে প্রাণশতদলে ফুটি-_ 
ঝলকিছে পলে গলে ! 
আলোক-পিপাঁসী উঠেছিলো! ভাঁসি, 
জ্যোতি যেথা রহি” ঝলে ! 


৫৮, 


দীপান্বিতা 


তাঁই আজি হায়, ঝলসিয়া যাঁয় 
আখি ছুটি ধীরে বীরে । 
নাহি নাহি বারি_ নির্মল ঝারি / 
তাইত কণ্ঠ চি'রে। 
দুর গগনের স্থূর প্রীস্ত হ'তে 
ভাসি' আসে স্থুর বিপুল ব্যথার অ্োতে; 
আঁঘাঁতি ফিরিছে মাঁনব-মানস-পথে, 
জগতের মন্দিরে ৷ 
সে রূপ-আভায় আঁখি গেলো হাঁয়, 
তাইত কণ চিরে ! 


অরুণের মতে! এষে অবিরত 
আলোর বাঁসনা বহি” 
উঠিলে। আকাশে; কোন মহাঁভাসে 
ফিরিলো নয়ন দহি: ! 
দুর্ববলগাখা বুঝিবা মরণ-ডোরে, 
শাস্তি খুঁজিছে বূপ-পিপাসার ঘোরে! 
বিপুল গগনে আকুল নয়নলোরে . 
কীদি” উঠ্ঠে রছি” রহি”। 
নামে চোখে তা'র নিবিড় আঁধার। 
লুপ্ত সুদুর মহী ! 


দিবস-প্রহর বাঁড়িছে প্রখর ; $ 2 7 
বাড়িছে দহন জ্বাল 
ক্লান্ত পথিক কোথা' কোন্দিক  . ... 
.. ভোমার পান্থশীলা! . 


77 





দীপাষিতা 


রূপের তৃষাঁর আশা কি মিটিলো৷ শেষে ! 
কেন ফেরো আজি শ্মাম তরু-গিরি-দেশে ! 
পরবাসে বলো কে পরাঁলে! তোমা” হেসে 
বিফল ব্যথার মালা ! 
হেরি আজি তাই, বিশ্রীম নাই 
বহিছ বেদনা ডালা ! 


চোঁখ গেলো যাঁ'র, আজি সে জনার 
সন্ধান দিলো আনি, 
দীপ্ত দুপুর, দিবসের সুর, 
্লান্ত ক্লিষ্ট বাণী! 
সে নছে কেবল বিহগের ফিরে-আঁসা ; 
দাহ-তাপ-মাঁঝে ব্যথিত জনের ভাঁষা, 
চির দিবসের সকল গরব-নাঁশা' 
সে যে বেদনার বাণী-- 
চোঁখ, গেলো! যাঁর সেই সে জনা 
সন্ধান দিলে! আঁনিঃ। 


বারিহীন দেশে যেথা! অবশেষে 
মরুরেখা-পথ ধরি 
যাত্রীর চলে ধারে দলে দলে 
মরুর তৃষায় মরি/। 
সেই সে দেশের পাঁওু শূন্য-তলে 
যেথা অহরহ অসহ আলোক ঝলে, 
তুমি কি বিহরো৷ সেই সে দীপ্তানলে 
তৃষায় বক্ষ ভরি' ? 


ওঃ 


দীপান্বিতা 


যাত্রীরা হায় কেহ ফিরে নাই 
মরু-রেখাপথ ধরি' ! 


স্থজন যেথায় শেষ হ'য়ে যাঁয় 
গগন-সীমায় দুরে, 
জবির্ত দাহে মন নাহি চাঁহে 
যেথা যেতে 7-_-সেথা উড়ে 
তুমি গেলে চলি” তরুণ গরুড়-বেশে, 
দাবদাহ-মাঝে অম্ৃতের উদ্দেশে ; 
নয়ন হাঁরায়ে আসিলে ফিরিয়া শেষে ; 
মর্ত্যে মরিলে ঘুরে। 
ফেরো বেদনায় তরুর ছায়ায় 
চির-সকরুণ স্থুরে ! 


গেলো যা'র আখি নহে সে ত পাখী; 
সে যে আশা, দেহহীন। 
ভাসে তারি স্থুর চিরন্থমধুর-_ 
প্রতি প্রাণতললীন ! 
যে আশ পারে না সহিতে বেদনা-রাঁশি, 
পারে না হেরিতে স্েহ-দয়া-মায়। নাশি' 
ধরণীর বুকে স্থুর উঠে তাঁর ভাসি 
সকরুণ উদাসীন 
গেলো ধার আখি, নহে সে তপাখী, 


সেযে আশা, দেহহীন! 


সপ 


৬৯ 


শিশু 


জীবন-যৌবন-ক্ষণে শিশু মোরে ডাঁক দিয়ে যাঁয়! 
অবিরাম ললিত কথায়! 

স্বপ্নে মাতি” দিবাঁরাঁতি চলিয়াছি পথ হ'তে পথে! 
উচ্ছল আঁনন্দ-বেগে তারুণ্যের দীপ্ত জয়-রখে ; 
জয়-প্রী ভাতিছে মুখে । কর্ম্ম ডাকে স্থকঠোর রবে। 
গগনে গগনে তাঁর প্রতিধ্বনি জাগি” উঠে যবে, 

সহস! পড়িলো৷ মনে, কবে কোন সুন্দর প্রভাতে, 
ধরণীর বক্ষতলে শিশু হ'ষে এসেছিনু ফিরে। 

সে স্তৃপ্ত শৈশব আজি ডাকে মোরে ধীরে, 

সরল সুন্দর তার চিরন্তনী ক্রীড়ার সভাঁতে ! 


বহুদুর আসিয়াছি চ'লে”_ 

কভু হাসতে, কভু ক্লেশে, যৌবনের কর্ধম-সভাতলে ! 
জীবনের সিন্ধুনীরে ক্ষুধিত পাঁষাঁণ উঠে জেগে! 
সরল সত্যের আলো! গ্লান হ'ল সংশয়ের মেঘে ! 
হে শিশু, কহিছ কেন, এস এস ফিরে ! 

আমার চটুল নৃত্যে যোগ দিবে নবীন মন্ভীরে। 
আমার এ খেলাঘরে ধুলিমাঝে স্তব্ধ মনটিরে 

নীরবে রাখিয়া দিবে। আমি তাঁ'রে ধীরে 

আমার রক্তিম বাঁস পরাইব হেসে, 

দিব মোর উত্তরীয়, পুষ্পমা'ল! বাঁধি' দিব কেশে! 


৬২ 


দীপাদিতা 


ও মর ধ 
তখন লাগিত বড় ভালো, 
প্রভীত-সন্ধ্যার লীলা, মেঘ কালে! কালে! 
অসীম রহস্য-ভর!1 ! যেন স্বপ্র-রাঁজপুরী হ'তে 
মাতঙ্গ নামিত ধীরে। জলধারা ছড়া'ত মরতে ! 
নিবিড় জলদজা'ল শালবনে চলিত সবেগে, 
বর্ষার নুপুরধ্বনি শুনিতীম অর্ধরাত্র জেগে । 
শিশুর অন্তর জুড়ি' কোথা হ'তে আসিত কেবল, 
অপ্নর কিন্নর কত-ায়ানৃত্য আননদ-চঞ্চল ! 


আমার সে স্বপ্ন-ন্বর্গে আমারে কি ল'বে তুমি ডাকি" ? 
ধূলিজাল ছিন্ন করি' আমি সেথা ফাড়া'ব একাকী 

হে শিশু তোমার পাশে ! নয়ন মুদিয়া রব ধীরে 
সংসারের পারাবার-তীরে, 

যেথায় খেলিছ সবে কোলাহলে বালুতটতলে, 
সংশয়-অতীতপুরে জগতের রাজার মহলে 

নিঃশব্দ পশিছ সবে ;-_সেথা! মোরে ডাকিবে কেমনে, 
সে চির সরল লোকে গ্লীনিহীন আনন্দ-ভবনে ? 


ঙ হ ধং 
হেরিতেছি চাঁহি” 
তিনি নামে রে আসিরাছ খে আদার : 
ধর্ণী আনন্দময়ী। বাঁয়ু ফিরে তব গান গাহি*ঃ... 
কৰি রচে তব কাব্য । শিল্পী তব তনু ্থকুমার 
অমর তুলিকা-পাতে রচিছে নীরবে. 


৮:৮5 


দীপান্বিতা 


তুমি আঁপি' কবে, 
তাহারে পরশি' গেছ কল্পনার নব গীতরবে ! 
চিত্রে তারে তিলে তিলে মহাপ্রীণ সমপিতে হ'বে! 


তোমার হাঁসির পিছে সহজ্রের চেষ্ট! মরে ঘুরি? । 
নিখিল মায়ের কোল জুড়ি? 

নীরবে হাঁসিছ কভু, কভু বাঁ কীদিয়া পড়ে৷ গলি' ; 
কভু টলি' টলি, 

আনন্দ-ভবনতলে ফিরিতে্ছে অস্ফট ভাষায়! 
পুরাতনে দাও আশা, আলো! দাও জীর্ঘ বন্তুধায়! 


তোমাদের যাত্রাপথ 'পরে, 

আমারে ডেকেছ আজি মুখরিত আনন্দ-আসরে ; 

ূর্ধ্য সেথা আলো-দাতা ;__গাহে গাঁন বৈতালিক-দল ; 
চঞ্চরী চঞ্চল 

চিত্রিত ডানায় তা'র বহি, চলে স্বপ্নের সংবাদ; 

বায়ু আনে নিখিলের প্রাণভরা শুভ্র আশীর্বাদ । 

কোটি কোটি কৰিজন তোমাদের লাগি” 

মহান মঙ্গলতরে দীর্ঘ রাত্রি র'য়েছেন জাগি” ! 

মোরে তারি পাঁশে, 

হে মৌর শৈশব-স্প্ন, ডাকিয়া মধুর সম্ভাষে ! 


আজি সর্বব অবদান ধীরে তাই ফেলিয়াছি দূরে; 
তোমাদের চকিত নূপুরে, 

আমার এ স্তব্ধ প্রাণ বাহিরিলে! অন্ধকার হ'তে, 
সলীল, চটুল নৃত্যে আনন্দের সমুচ্ছল জোতে! 





৬৪ 


বিশ্ব-নর্তকী 


আকাশ জুড়িয়। তার! নাঁচে! 

লক্ষ কোটি গ্রহে গ্রহে সজনের ব্যাকুল উল্লাসে, 
বন্ধহীন আনন্দের পরিপূর্ণ অদম্য প্রকাশে, 

অপূর্ব লীলায় ছুলি” বিরাট শুন্যের অবকাশে, 

রম্ধে, রন্ধে, উচ্ছ,সিয়া কহে তা'র! আছে, আছে, আছে 
প্রাণের প্রবাহথানি। নব নব সাজে, 

তরন্গ-বিভঙ্গে ছুলি' নাচে তাঃরা, নাঁচে, নাচে, নাঁচে ! 


সে নৃত্যে আন্দোলি' উঠে মহাশূন্যে অণু-পরমাণু ; 
সে নৃত্যে প্রকাশবাণী প্রচারিছে শশীতারা-ভানু ! 
সে নৃত্যে উম্মাদ উচ্! ছুটে চলে অজানা-সন্ধানে. 
এক গতি, এক প্রাণ লয়ে। পথহীন নীরন্, জাধারে রী 
লঙ্ি' চলে ছায়াপথ তীব্রবেগে শূন্ত-পরপারে; 
তারপরে আপনার উত্তপ্ত প্রাণের অগ্লিবাণে 
ধংসনৃত্যে আপনারে ভম্ম করি' ফেলে একেবারে। . .. 
জ্যোতিসানগ্রহান্তরে শুফবালু-মরুডু-মাঝারে। : 


৬৫. রর 1 পি, 





দীপান্বিতা 


মাচে তারা নাচে; 

গলকে পলকে তাই ব্যাকুলিছে প্রাণসিল্ধু মৌর প্রাণ-তটিনীর কাছে। 
কি বাণী কহিবে সে যে, নাহি জানি, নাহি তার ভাষা ! 

উদ্দাম, উচ্ছল নৃত্যে আন্দৌলিবে শূন্যতল,_-এই ছিলো আশ! । 
আলোক-তরঙ্জে তাঁই রঙ্গে ভঙ্গে গতি আসে ছুটে । 

সপ্তবর্ণইন্দ্রধনু মহালৌক-সিন্ধুপারে পড়িয়াছে লুটে । 

গোপন নৃত্যের বাঁণী বনষ্পতি করে জপ আপনার ধ্যানলোক-মাঝে। 
খতুতে খতুতে তাই অরণ্য-দেবতা তা'রে লঘু-ঘন শ্যামপর্ণ-সাজে 
নীরবে সাজায়ে তুলি আপন প্রকশি-মন্ত্র কহে তা”র কর্ণমূল-তলে। 
অসীম নর্তন-ছন্দে ধরিত্রী উঠিছে মাতি' মন্ত্র শুনি পলে, পলে, গলে । 


ধরণী জুড়িয়। এর! নাচে; 

সরস সুন্দর তন্ন ছুলি, উঠে অবিরাম প্রাণপণ বিকাশ-লীলায়। 

ছুলে উঠে চন্দ্রহীর। কটি-তটমাঁল! নাঁচে। রূপ মাঝে রূপ মুরছায়। 
কনকরতনকাঁঞ্চী কণি উঠে মুুমুহ--কডু যাঁয় দুরে, কভু কাছে। 
ধরণী-নর্তকী নাঁচে। চাহি" রহে লক্ষ নেত্র। নাঁচে এর! নাঁচে, নাচে, নাচে। 


শত লক্ষ লৌহবাহু মেলি' 

নগর-দীনব নাচে কর্মের গর্জজনক্ষুৰ পথে । 

নাচে রথ। নাঁচে ধূলি। প্রাণের প্রচেষ্টা কোনোমতে 

বযগ্রবান্থ প্রয়োজনে আবরিয়া চলে। দুরে ফেলি? 

পরিত্যক্ত মৃতস্তূপ, বিপুল নর্তন ছন্দে স্বার্থনটা ধেয়ে চলে দুরে । 
মৃত্যুর ভীষণরূপে কীদে পথ, উপপথ, ক্লান্ত, ব্যগ্র, ক্ষুধাঁদীর্ স্থুরে। 





৬৬ 


দীপান্বিতা 


প্রকাঁশ-পশ্চাতে হেরি আনীল পিশঙ্গ জটাজাল, 
ধুলিধুম রক্তনেত্র দণ্তধর মরণ ভয়াল, 

পশ্চিম গগনপ্রীন্তে ঘোর কৃষ্ণ ব্যগ্র মেঘসম 

চাহি" রহে দৃষ্টির অতীত শুন্যপাঁনে। ভাবি মনে, 
নৃত্য হেথা ছন্দোহীন। আর্ত তীব্র ব্যাকুল চীৎকার 
বিশ্বের ধংসের শিখ! ভম্ম করে কমনীয়তম। 
নিখিলের শ্শান-প্রীজণে 

ব্্থতার রুদ্র রূঢ় ব্যঙ্গ হাঁসি নৈশ অন্ধকারে 

আঁকাশ বিদীর্ণ করে বিহ্াতের কার প্রহারে। 


তবু, মৃত্যু ঘেরি' তারা নাচে । 

অসীম রহস্যলোকে সীমার বাঁশরীধবনি উঠে | 

মনে হয়, মৃত্যু নাহি । যারে হেরি, মৃত্যু সে ত নহে । 

গম্ভীর আসন্ন ছায়া_ৃত্যছন্দে প্রাণে তার লুটে 

ভীষাতীত স্জন-প্রবাহ। অপার গাস্তীর্য্যে সে যে বহে 

ব্যাকুল, চটুল নৃত্য মেঘনার শান্তত্রোত সম । 

জানি তা'রি মাঝে, 

অনাদি নর্ভনভঙ্গী গোপনে গোঁপনে চলে | নাঁচে তারা, নাচে, নাচে, নাচে | 


আজি হেরি নাচে তৃণ, নাচে তৃণফুল ; 

আপনার সৌগন্ধ-ব্যাকুল । 
নাচে গুলা, নাচে তরু অপরূপ প্রীণ-শ্রোত বহি" চা 
জীবক্রোত প্রপীড়িতা মাতা বন্বরা, বা ছেল গাছে রর 






৬৭ 


দীপান্বিতা 


অঞ্চল ছুলিছে রি" রছি' । 

অদৃশ্যা কমল! নীচে, বিস্তারিতশ্যামল-অঞ্চলা | 

নাঁচে সিন্ধু, ধরিত্রীর পদ-প্রান্তে বায়ুক্ষিণ্ত চ্যুতবাস সম। 

নাচে জন্ম, নাঁচে মৃত্যু, জীবন-প্রবাহ নাচে, নাচে সর্ববভোলা | 
ফুণ্কার-উতক্ষেপে তার নাচে অণু, নাচে অগুতম । 


এ নৃত্যে অপিলো ঘুত্তি, কবি আজি ধ্যানলোকমাঝে। 
গগন-ধরণী জুড়ি” নৃত্যময়ী হেরি আজি নাচে। 
কমনীয় তনু তা'র নৃত্যের হিল্লৌলভরে মুহুমুন্ু উঠে বিকম্পিয়! । 
কীপি' উঠে লক্ষকোটি নর-নারী-হিয়!। 
স্ছজনের আদি হ'তে নব স্ষ্িপ্রভাতের পারে, 
সে বিশ্ব-নর্তকী নাচে জরা মৃত্যু দলি? পদভারে। 
নূপুর-শিঞ্জনে তা?র বায়ুলোতে আসে ভাঁ্ি' তালে তালে সঙ্গীত অপার 
মাতে অণু-পরমাণু বহি” নিজ রন্ধে, রন্ধে, ভাঁষাতীত মহানন্দ ভার। 
লীলায়িত হস্তে তার স্থষ্টির কমল ফুটে; নেত্রে হেরি মহিমা বিরাঁজে__ 
দৃষ্টির অতীত নৃত্যে প্রশীস্তি ব্যাকুলি' উঠে। বিশ্ব ঘেরি, নাচে, 

সে যে নাচে, নাচে, নাঁচে! 


পপ পল 


৬৮ 


রৌদ্র 


ছাঁয়৷ আসে ঘনতর হ'য়ে; জাগে! জাগো হে রুদ্র-সন্তান, ' 
দীপ্ত তব প্রহরণ আনি, দৃঢ় পদে হও আগুয়ান্‌! 
তীব্র তব বেগময়ী বাঁণী দিকে দিকে দাঁও প্রসারিয়া। 
ওষধির পত্রময়শাখে তরুশিরে পড়ুক আসিয়া । 
বনচ্ছায়া মলানতর হ'লে স্থুসরল রশ্মিরেখাপাতে, 
করো দূর তমৌময়ী গ্রানি পরিপূর্ণ শান্তির প্রভাতে ! 


সূর্ধ্যসখ, ধীরে এস নামি” ধরণীর সভাগৃহতলে ! 

্বর্চূড় মেরুশির "পরে উষ্ণভাস, প্রদীণ্ড অনলে 

পুত হুবি-আঁহুতির লাগি” কল্যাণের ধ্রুব হাসি হেসে 
উত্তরিয়া এস বীর আজি দীপ্ত দেব-সেনাপতি-বেশে ! 
উদয়ের তীর্থপদ হ'তে উষসীর মলিন আলোকে, . 
হে প্রমন্ত, সঞ্চরিয়। এস রশ্মি ব্যাপি” ছ্যলোকে ভূলোকে! 


শূন্যপথে হও অগ্রসর জ্যোতির্ময় কনক-কিরীটা, 

মেঘলোকে উঠ ঝলসিয়! দগ্ধ করি সর্ববলোক-দিঠি। 

তা'র পরে এস ধীরে নামি” ধরিত্রীর মায়ালোক' পরে! 

তরুকুষ্জে কন্দরের ছাঁয়ে অন্ধকার যেথা থয়ে-থরে, 

সেথা এস মৃছ হাদি হেলে পরিন্ুট শুত্রকুন্দোপম.:. ..... 

করম্পর্শে দূর করি? দাও অবিচ্ছিন্ন বিমলিন তম। 
১৩ | 





দীপান্বিতা 


জরা হ'তে ধরারে উদ্ধারি, প্রানিলে নবীন যৌবন; 
শ্যামলত৷ সঁপি' দিলে তা'রে; দুরে গেল অনন্ত ক্রন্দন। 
তরু উদ্ধে মেলে তার শাখা ; ফুটে উঠে কোঁরক গোঁপন। 
প্রাণে জাগে করম-প্রেরণা, রূপ ভাসে নয়ন-শোভন। 
স্জনের ইন্দ্রজীলভার বহু” তুমি হাসিতে হাসিতে, 

মরুতুর বঙ্ 'পরে রহ” অগ্নিবাণ হানিতে, নাশিতে। 


তব ক্রোধে কীঁপি' উঠে ধরা, হে প্রখর, প্রদীপ্ত, ভীষণ, 
মহানলে দগ্ধ হয় ভূমি; কর দে সাগর শৌষণ। 
ূর্ণীবায়ু জাগি” উঠে বেগে প্রলয়ের মন্ত অট্রোল্লাসে 
হাহাকারে পূর্ণ করো দিশা, ভরে প্রীণ গভীর হুতাশে । 
একাধারে বিরাঁজিছ তুমি স্থকোমল, কুলিশ-কঠৌর, 
বিধাতার বজ্তহস্ত তুমি, তুমি পুনঃ স্থগ্টিলীলাঁডোর। 


ছেয়ে যায় দিশে দিশে যবে বন্ধহাঁরা নীরব, আঁধার, 
হিমশীত নিঃস্ব পৃথী ঘিরে জাগি” উঠে মত্ত হাহাকার, 
বেদনার সত্রুত নিঃশ্বাসে, অবিরাম মৃত্যুর লীলায়, 
মহোদ্বেগে কাল যাঁপে ধরা প্রলয়ের তামসী নিশীয়, 
নিখিলের প্রার্থনার মাঝে স্তৃবিপুল প্রাণ-স্পন্দমান, 
ঘন্তর বেদনার ছাঁয়ে জাগো জাগে হে রুদ্র-সম্তান ! 


শপাাশিশীীশিশ 


ধ$ 





হোমশিখাপুত বনে প্রীণযজ্ে প্রদানি' আহুৃতি 
হে ব্রাহ্মণ, উঠেছিলে জাগি” । 
নবীন তপন্তা তব স্বার্থরি্ত মহান্‌ গৌরবে 
খজু, শুভ্র জীবনেরে মাগি” 
স্নেছে, প্রেমে, করুণায় সিক্ত করি চিত্ততটভূমি 
উর্ধে তোমা” করিলে! বহন। 
আত্মার সে প্ুব স্থির মহীয়ান্‌ ধ্যানলৌক-মাঝে 
কবি তোমা” করে আবাহন ! 


চিরশান্ত সৌম্যবেশ; প্রসন্ন আনন তোমার 
মহানন্দে প্রীণজ্যোতি বহি'।. 

রাজারে করোনি ভয়। আঁপনি যে আপনার রাজা 
স্বীয় চিত্তরাজ্যতলে রহি” | 

দুর্বাসার বেশে যবে দস্ত এলে! ক্রোধ ল'য়ে সাথে 
পরাশর নিয়ে এলো! কাম,_ 


আয়োজন বৃথা সেথা; হে দাস্টিক, হে কামুক নর, টা 


কবি তোম। করে না প্রণীম। 


তি... 





দীপান্বিতা 


(যেথা তুমি মৃদু হাঁসি প্রাণ দিলে অপরের লাগি", 
যেথা দিলে মহা স্বার্থবলি, 

সেথায় অমর তুমি ;--কবি তৌমা” করিছে প্রণতি 
দিয়! পদে ভকতি-অগ্ললি । 

যজ্ঞ যেথা প্রাণহীন, পশু যেথা আর্তকণ্ঠরবে 
শক্তিহীন মিনতি জানায়, 

সেথায় চগ্ডাল তুমি। হে ব্রাহ্মণ হে লোভী বিরাট ! 
গর্বৰ তব খর্ব ষেথা হায়! 


আজি এই নবযুগে হে ত্রাঙ্মণ,উঠ উঠ জাগি” 
সর্বব ধর্্মবর্ণ-নিবিশেষে, 
আপন নাধনা-বলে তমোহীন শুভ্রতার লাগি, 
করে৷ তপ অমানিশাশেষে। 
্রদ্মেরে জানিবে তুমি আপনার দীপশিখ। ভ্বালি' 
জম্ম তব নহে অধিকার; 
আচারের দাস নহ'। গপ্ডী আজি মুছি' ফেলি' দাঁও 
সাঁধনারে নম' বার-বাঁর ! 


শক্তিহীন, ত্যাগহীন, মন্ত্রহীন জীবন তোমার, 
ফেলি দাও পথধূলি 'পরে। 

মানুষের অধিকারে ফিরে এসে দাস্তিক প্রবর, 
নবযুগ চাহিছে তৌমারে। 

অধিকার নাহি যাঁর, তবু বসি' নিরিবিচাঁরে হায় 
পদধূলি করেছ গদান ! 

আজি সেই অপমীন তোমারে যে করিবে আঘাত 

শির পাঁতি' লহ প্রতিদান! 


৭২ 


দীপান্বিতা 


্রাক্মণ উঠিছে হের, ধরণীর প্রতিগৃহ হ'তে 
প্রতিভীর অমল প্রভায় | 

তৌমার গন্তীর মাঁঝে আদর্শ সে বদ্ধ নহে, নহে-_- 
মুক্ত সে যে বিহগম প্রায়! 

বিশ্বেরে সে আমন্ত্রিছে আপনার যজ্ঞশাল!-মাঝে_ 
তুমি আজি দিবে কোন্‌ দান ৰ 

তপন্থী আসিছে কত; জ্ঞানী, প্রেমী আসে নারে সারে; 
সেথ। তব নাহি নাহি স্থান! 


্রাঙ্মণ উঠ্িছে জাগি" হেরিতেছি সম্মুখে আমার; - 
নেত্রে তা"র বহিশিখা ্বলে। 

জন্মে নহে, বংশে নহে-_তপন্ঠায় অধিকার তার 
আপনারে গড়িছে মবলে। 

নবীন পূজারী সে যে-_বিশ্ব ব্যাপি” চলিছে সবেগে 
শীস্ত সৌম্য পূর্ণ-মনস্কাম ! 

স্বার্থ ধীরে বিদর্জিছে আদর্শের মহাঁজোত "পরে 
কবি তারে করিঃছে প্রণাম ! 


৭৩. 


ধান্যমপ্জরী 


স্বর্ণ-সরোজাসীনা কমলার কম করপুটে, 
সাগর-মস্থনদিনে ধীরে ধীরে উঠেছিলো ফুটে 

বিশ্বের ভরসারূপে, ভবিষ্যের মহাঁসভ্ীবনী,__ 
জীবধাত্রী ধরিত্রীর প্রিয়া কন্যা হরিত্বরণী, 

্ব্ণশী্বা ধান্তের মঞ্জরী । 

স্রাস্থুর ধীরে নিলো! বরি' 

আপন আলয়-মাঝে মহোল্লাসে পৃর্ণী-দুহিতারে। 
স'পিলো আবাস তারে বিদুরিয়া কাননে-কান্তারে । 


বারিধির বক্ষতলে স্থনবীন! ধরা -- 

কিশোর বয়স তা'র স্থুবিপুল আকাঙ্ায় ভরা । 
আন্দোলিছে বক্ষ তা"র নব নব স্ষ্টির হিল্লোলে। 
মহাঁকলরোলে 

স্থমহাঁন্‌ জীবলোত ধেয়ে আসে বাঁধাবন্ধহার!। 
সংক্ষোভ বিরোধ বাজে । কীপি" উঠে গ্রহচন্দ্রতার! । 


সে মহাস্জনক্ষণে অন্পূর্ণা-ভীারের লাগি' 
ধীরে ধীরে বিধাতার বর নিলো মাগি" 

ছিন্ন করি, ক্লেশজাল প্রশমিয়। ক্ষুধাতমৌরাশি 
হেসেছিলো৷ স্থ শোভন হাসি 

বিস্তীর্ণ প্রান্তরতলে সূর্য্-করে গবনহিল্লোলে, 
ধান্কের মঞ্তীরীদল মহাঁধাঁত্রী বন্থদ্ধরা-কোলে ! 


সনে হাসি আজিও তা'রা বিস্তারিছে দক্ষিণ পবনে ; 
তরজিত মহাশান্তি বিরাঁজিত ভূবন-প্রাঙ্গণে। 


গিঃ 


দীপান্বিতা 


দ্বেহিংসাঁকোলাহলে সভ্যতার আদিষুগ হতে 
কমলার প্রিয়পাত্রী বিরাজিছে আজিও মরতে ! 
আজিও শরতে হেরি, তারি পাশে ফুটে কাশফুল ।' 
ঘাঁট-মাঠ-পথ-বাট আজো তা'র সৌরভে আকুল! 


চলিছে উত্সব । 

আনন্দ ভবন-মাঝে নিশিদিন উঠে কলরব। 

অন্ন দাঁও, অন্ন দাও ; জলে স্থলে তাই দিকে দিকে 
চলিছে প্রচেষ্টা নানা । হেরি অনিমিথে 

দুলিছে ধান্যের শীর্ষ বরাভয়। জননীর বেশে । 
কৃষক গাহিছে গান। ক? তার প্রীস্তরের শেষে, 
ধীরে ধীরে বায়ুভরে অতিদুরে মেশে একেবারে! 


হে লক্ষ্মী, সঁপেছ তুমি মৌন অশ্র্ধারে 

হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ অর্ধ্য ধান্যক্ষেত্রমাঝে । 

তাই প্রাণে বাজে 
বিশ্ব-সঙ্গীতের রেশ সম্ভোঁষের স্থৃবিচিত্র তালে । 
মানবের ভালে 

তাই ভাতে স্থখরশ্মি ক্ষণিকের অতিথির মতো । 

চক্ষে তা'র ভাসে জ্যোতি। বক্ষে আশ! ধ্বনিছে সতত। 


আজি দুর মাঠ-বাঁট ভরি? ্‌ 
ঝরিছে শ্রীবণ-ধাঁরা হেরিতেছি দিবস-পর্ববরী । 
ভারতের নভভলে বহুদূর দৃষ্টি নাহি চলে ; | 
ঘনমেঘে বারি-পাঁতে আবরিছে শুধু পলে পলে। 
দিগন্ত তিমিরারৃত!। সন্‌ সন্‌ বহিছে পবন) 
দুলিছে অঞ্চল তব স্থবিস্তীর্ণ হরিওকেতন । 


৫" 





দীপাদিতা 


হেরি পরপারে, 

নির্মল গগনতল । মেঘরাশি নাহি ভাঁরে ভারে। 
ধরণী পঙ্কিল নহে। নাহি সেথা মত্ত বারিধারা । 
তেজস্বী ধরণীশিশু চূর্ণ করি পাঁষাণের কারা 
প্রবাহ আনিছে বহি, রৌদ্রদগ্ধ প্রান্তরের 'পরে। 
জড়তা নাহিক” আর। হেরি থরে থরে 
বিরাজিছ তুমি দেবী, স্ুপ্রসন্না সন্তান-গৌরবে 
বিজেতা তনয় তব ব্যাঁপে মহী স্থগম্ভীর রবে। 


হেরিনু চাহিয়া, 

সুদূর প্রান্তর 'পরে স্সিগ্ধ করি' তনুমন-হিয়া 
দক্ষিণপবনসাঁথে ক্রীড়া করে মগ্তরীর দল। 
পল্পবে চলিছে লীলা! | শুভ্রধেনু চরিছে কেবল । 
যেন হেরি মহাঁশান্তি স্তরে স্তরে করিছে বিরাজ। 
স্তর, শান্ত বসুন্ধরা পরিয়াঁছে যেন শ্যাম সাজ ! 


ভাতিলে' সম্মুখে সিন্ধু, অনন্ত উদার। 

সংক্ষুব্ধ সাগর-বক্ষ আন্দোলিয়! বিপুল, ছুর্ববার 
সাগর মন্থন করে পৌঁতীরোহী সার্থবাহদল। 
কমলার করপুটে ধান্যশীর্ষ নাহিক” কেবল? 
আছে তী'র পন্মহস্তে শ্রমিকের রক্ত-রাঁডা ধন । 
ধরার বিশাল বক্ষ তারি লাগি” করিছে খনন 
ধনতৃষ্ণাভারাতুর ।-_রক্তশোষী নিশীচর প্রীয় 
স্তম্ভিত, ব্যথিত স্থষ্টি, রসধাঁর! নীরবে শুকায়। 


স্বার্থ জাগে, জাগে দ্বেষ, ্বীরে ধীরে জাগে কোলাহল । 
দক্ষিণ পবনে হেরি ক্রীড়া করে মঞ্জরীর় দল! 


সি 


দত 


উন্ধা 


নিশীর বিশাল বক্ষ নিঃশবে ছিঁড়িয়া, 
আকাশের প্রান্ত বিদারিয়া, ূ 
প্রিয় মোর, বন্ধু মৌর, তুমি এস এই বক্ষ 'পরে! 
হেথা থরে থরে, 

সাজানো রয়েছে তব শত আয়োজন. । 
তোমার বিছ্যুৎস্পর্শ চিরদিন পরম শোভন । 


তোমা” লাগি? প্রিয়, 

জাঁলায়ে রেখেছি বক্ষে স্থীয় 

তীব্রতম যন্ত্রণার কালানল-শিখ! : 

দুখের এ রক্তটাকা 

পরেছি ললাট-দেশে তোমার আসার পথ চাহি” । 
আজি নাহি নাহি 

সামান্য সন্দেহ-দ্বিধা অণুমাত্র জড়তাঁর ভার। 
মৃত্যুর গর্জজনে রোলে তব সাথে মিতালি আমার ! 


এ দেহ লুটা?য়ে যাক আঘাতে তোমার, 
এই বাঁশী, এই স্পর্শ, এই হাসি, এই চিন্তাভার 
ধূলায় লুটায়ে যাক্‌ চক্ষের নিমেষে; 

তারপরে স্থনিষ্মল বেশে র | 
জে]াতির মুকুট পরি' তোমা? সাথে হবে আলাপন। ৰ 
হৃদয়ে হৃদয়ে হ'বে অহন মুগ্ধ দরশন ! রে 





৭৭ 
১১ 


মহাক্ষুধা 


মহাক্ষুধা জাগে আজি প্রাণে, 

জাগে দেহে, জাঁগে সবখানে । 

এ রুদ্ধ ছুয়ারে সে যে ঘন ঘন করে করাঘাত! 
হেরি অকস্মাৎ, 

ব্যক্তিরে সে আবরিয়৷ দেশে দেশে সমাজে সমাজে, 
আপনার মহিমীয় একছত্র রহে রাঁজ-সাজে । 


নব নব প্রেরণার বলে, 

মানুষ স্থজিছে যা"রে মাঁটির এ ধরণীর তলে, 
আপনার রক্ত দিয়া, আপনার আশা ভাষা সঁপি” 
কল্পনায় যা'র নাম জি? 

মানুষ আনিছে ডেকে আপনার দেহের ছুয়ারে, 
অলক্ষিতে চিরদিন জানি সে ষে চাহিয়াছে তারে! 
এই তাঁর ক্ষুধা,_ 

এই তা"র চিরন্তনী স্ৃধা 

জানি তা'রে করিছে আহ্বান! 

দেশ হ'তে দেশীন্তরে, মেরুশিরে এরি জয়গান! 


কেহ তা'রে বলে আশা । 

কেহ তা'রে কহে ভালোবাসা । 

কেহ কহে জ্ঞান, প্রেম, কেহ কহে ধ্বংস সর্ধবনাশ!। 
কেহ বা! কল্যাণমুস্তি হেরিতেছে সম্মুখে তীহার। 

সে যে সত্য নগ্নরূপ এ বিশ্বের অনন্ত ক্ষুধার ! 


৭৮ 


দীপান্বিতা 


জানি, তা'রে জানি; 

আমারে সে দিলো! প্রাণ । আমারে সে রূগ দিলো আনি' | 
প্রথম আলোৌক-লিপিখানি 

সে মৌর ললাটে দিলো জনের শুভক্ষণে টানি । 

তা"র পরে প্রতিদিন নব নব রূপে 

তা*র সাথে হ'ল পরিচয়। 

আপন কামনাধূপে 

তাহারে স্থরতি' তুলি” মানি মনে অপার বিন্পয়। 

ক্ষণে ক্ষণে দিনে দিনে ক্ষুধা তা"র বাণী মোরে কয়। 


সভ্যতার সর্ববখদ্ধিমূলে, 

এই ক্ষুধা মহাদান দিলো তা"র তুলে। ্‌ 
মৈত্রেয়ীর মহাবাণী দিলো তার অতৃপ্তির মাঝে। 
দিলো! বিশ্ব-সীধনীর নব নব সাঁজে। 

এলে! কভু শুভ্রবেশ পরি, | 

স্থকৃ্ঠৌর তপস্তায় আপনারে সর্ববরিস্ত করি' 
তারপরে বণন্তের দিনে ্‌ 

উমার মিলনে এলে! আপনার পথ চিনে চিনে । 

তবু সে রহিলো বসি' জাগি, ! ্‌ 
যুগে যুগে প্রাণে প্রাণে তৃপ্তিহীন মহা-আশা মাগি” । 
দিন চলি” যায় 

এই ধা নাহি রহে অনায়াস অলস শয্যায় . 
গতি তা*র বাঁড়ি' চলে নানা রূপে, নান! সভ্যতায়। 
জানাযা যায়।.. 
দশ হতে লেশান্র েশিরে এরি জান সিকি 





৭টি 





শেলি 


কুয়াশায় ঢেকেছে আকাশ। 

শীতের স্ুতীত্র রাত্রি; বহে তা"য় উত্তর-বাতাস ! 
গার টাদের আলো! ন্বপ্ললৌক এনেছে ধরায়; 

দূরে শুনি নীড়হার! পাখী ডেকে ঘায়! 

মরণের ছায়। যেন নয়নে ঘনায় ;-- 

বিষাদের অভিসার। থেমে গেল হাঁয়, 

জ্যোতির উৎসব মোর হরষের বাণী ! 

অন্তর-আকাশ মাঝে বেদনার তীব্র রেখা টানি 

অপূর্ণ আশার পাখা মেলি' 

আমার আখির আগে এলে তুমি-_হেরিলাম শেলি। 


তোমার মুরতি আমি হেরিলাম কবি, 

তৌমাঁর এ ধরণীর ছবি 

কোথায় লুকায়ে গেল আকাশের কুয়াশীর গাঁয়। 
তারি মাঝে হেরি' দেখা যায় 

অপূর্ব পাঁওুর মূর্তি, শীর্ণ দেহ, ব্যথা-স্লান জাখি 
সুদুরের পানে চাহি নিরাশীয় নমে থাকি' থাকি! 
ঘেন কোন্‌ নাম-হারা নক্ষত্রের মাঝে 

দৃষ্টি তার রত্ব লভিয়াছে 

যেন দূর ছায়া-পথ-পারে, 

পেয়েছে সে, চেয়েছে যাহারে | 


৮০ 


দীপা্িতা 


সারাদিন গাহি" যা"র গান, 

সন্ধ্যায় সিদ্ধুর নীরে পেলে যাঁ'র পরম সন্ধান, 
সেই প্রিয় মরণের স্থুশীতল স্নেহময় ছাঁয়ে 
আপনারে দিয়েছ বিলায়ে! 

বিষণ্ণ মরণ তাঁই বিষাদের নব ব্যথাভারে, 

পথে তা"র চলিতে যে নারে! 

তাই তার দীর্ঘশ্বসে নতে হেরি কুয়াশ। ঘনায়। 
তোমার বিশীর্ণ টাদ ভয়ে ভয়ে মীঝে মাঝে চায়। 
তব প্রিয়তম! নিশি আজি তাই ক্লান্তিভার বহি, 
চাহে তব মুখপাঁনে হে চিরবিরহী ! 


চির অমৃতের আশ স্থদুরের পানে চেয়ে-থাক! /-- 
অপূর্ণ আশার ভারে প্রাণমন ঢাকা; 

সারাটি জীবন ভরি, গ্লানিময় ব্যর্থতায় বহি” 
প্রেমের বেদনাটিরে সহি" 

রচিয়! কাব্যের মাঝে চির নব ইন্দ্রজাল-মায়া, 
অপূর্ব স্বপন-সাথে মিশাইয়! আপনার কায 
সমাজের শাঁসনেরে ঘ্বণা-ভরে দূরে দিয়! ঠেলি' 

এ কি খেলা খেলিয়াছ শেলি ! 


পুরব-সাগরপ্রান্তে শতক্রোশ ব্যবধান ছাঁড়ি' 
জীবন-দাধনা তব আজি দেয় পাড়ি! ্‌ 
উদ্দীম তোমার স্থুর ছেয়ে গেছে নবীন ভারতে । 
প্রতি হিয়া-মাঝে তাঁর পরতে পরতে 

হয়ে গেছে সনাতন স্থান,।.. ্‌ 
জগত গাহিছে কবি, আজি ভব প্রিয় রুদ্র-গান। 


৮১৯ 





কবি ভবভূতি 


জাতুকর্ণার অমর তনয়, সুদুর দিনের কবি, 

ওগে। ভবতৃতি, বেদনা তোঁমাঁর ফুটালো৷ করুণ ছবি! 
শ্যাম কান্তার-প্রান্তর-পাঁরে ঘন নীল গিরিমীয়া 1 
তারি মাঝে কীদে মানব রাঘব। ঘনীয় বিরহ-ছায়া ! 
অতি-মানুষের আনন এঁকেছ আতুর আখির জলে ! 
স্মৃতির সে ব্যথা-নিগীড়ন হেরি পঞ্চব্টার তলে ! 


নব শল্পকী-পল্পব্দলে করি-কর্ভক-সাঁথে, 

কিশোরী বধূটি খেলিত তাহার কমল-কোরক-মাথে ! 
বনের চপল হরিণ-হরিণী লালিত সীতার করে। 
স্থথী শিখীদল-কলবঙ্কারে তারি ভীষা মনে পড়ে। 
হেরি সে দহনে কঠোর রাঘব সকলি গিয়াছে ভুলি' ! 
অতি-মানুষের বেদনা একেছে মানুষ-কবির তুলি ! 


৮২ 


দীপান্বিতা 


স্থচির কোমল মীনব-মরমে একটি রসের ধারা, 

যুগ-যুগ ধরি' বহি' চলি যাঁয়। ছুই তীরে জাগে সাড়ী। 
কত গুগ্টন, কত না ভাষণ ঘন আবর্তে চলে; 

সে রস, গভীর চিরম্থৃকরুণ উপজে অশ্রুজলে ! 

এ বাঁণী তোমার করেছ প্রচার__ধন্য ধরার ধূলি। 
অতিমানুষের বেদন! এঁকেছে মানুষ কবির তুলি ! 


ললিত মধুর কবিতা৷ তোমার, কভূ গম্ভীর কাঁয়!। 
কভু নির্বর-ঝর-ঝর ভাষা, কভূ বা বনের মায়া! 
প্রেমিক-হৃদয়-জড়িত ব্যথারে ঘিরিয়া ঘিরিয়া জাগে । 
মরমে ধরিয়া শিশুর অমিয় নব নব অনুরাগে ! 
প্রিয়ার লাবণি মৃত্তি ধরেছে ধ্যাঁন-্ৃযমার মাঝে, 
সংদার-পথে নব নব স্থুরে প্রেমের বীণাটি বাজে । 


সমাজে তোমার পাওনি আসন স্থদুর দিনের কবি, 
আজি মানুষের মরমে তোঁমীর বেদন! ধরিছে ছবি, 
নিরবধি কাল, পৃথী বিপুল, সমানধর্্া আসে)__ 
অটুট সাঁধনা-শতদল তব কালের সাগরে ভাসে ! 


সিসি 


৮৩ 


শরৎ-প্রশস্তি 


শরতের জন্ম হেরি শ্রাবণের মরণ-শয্যাঁ় ূ্‌ 
প্রীবন-পীড়ন-ক্ষণে। প্রভাতের সন্ধ্যার লীলায় 
ধরিত্রীর নব অভিসারে। 

আজি তা'রে 

হেরি মুগ্ধ চোখে । 

জলস্থল আবরিয়! নগ্ন শিশু প্লাবিত আলোকে, 
কাশকুন্থমের সমীরোহে ॥ হাঁসির আনন্দগাঁন 
দিগ্থিজয়ী বীরশিশু তীব্রবেগে করিছে সন্ধান 
ুর্ণা তটিনীর পাঁশে পাশে। নর্ভনের তালে তালে 
স্ষ্তির বিষাদভাতি মুহুমুন্থ জাগে তাঁ"র ভালে 
বিজয়ার অশ্রুর বাসরে। 


তা'রি মতে মানব-অন্তরে 

আজিকে ফেলিছ ছাঁয়া,-নবমাঁয়। হে চির নবীন, 
বেদনা-পীড়ন-ক্ষণে। চিত্তউৎস-উৎসারিতরসে 
সাজাইছ ভাঁরতীরে আনন্দ-রভসে 

বিচিত্র মাল্যের ভাঁরে। 


৮৪ 


দীপান্বিতা 


হেরি অনুদিন 

যে গান গাহে নি কেহ, তা'রে তৃমি সঞ্চারিছ প্রাণ। 
ধূলাঁয় মলিন বীণা কোলে টানি করিছ সন্ধান 
মুচ্ছিত সুরের বাঁণী। যাঁরে কেহ কহে নাই কথা, 
তাহারে আনিছ বুকে পুর্ণ করি সকল ব্যর্থতা! 


শরতের দীপ্ত রৌদ্র, পাশে তাঁ'র ছায়া গাঁঢ়তম। 
ক্ষতির কণ্টক দলি" বিক্ষেপিয়া জীবনের তম 
প্রসারিলে দৃষ্টি তব স্তব্ধ ঘন অন্ধকর-তলে 

গ্রানির জীবনে যেথ! অন্তরের দীপ্ত মণি জলে : 
অধীর, ব্যাকুল লগ্নে। তা?রে হেরি এনেছ বাহিরে 
আশা-নিরাশার ছন্দে__পুরাঁতন প্রীসাদ-কুটারে 
দিবার আলোক-তলে। ধুলি-স্রান জীবনের বাণী 
রেখেছ কৌস্তভসম সযতনে বক্ষতলে আনি, ! 


আজিকে শ্রষ্টারে তব নব স্ৃষ্টি-অধ্য-উপহারে 
নীরবে পুঁজিছ কবি। জীবনের জম্টাকা বহি? 
শরৎ নমিছে যথা মেদিনীর চরণের তলে, 
পূর্ণতার বাঁণীটিরে রাখি? দিয় মৃত্তিকা-অঞ্চলে 
নবীন স্থজন-বেগে । অসঙ্কোচে ত্যবাণী কহি' 
সোমার স্ষ্টির গান রাখি” দিলে রচন-সস্তারে। 
কালের গভীর রক্ব, পূর্ণ করি অমর ভাষায়! 
ব্দনারে বাণী দাও নঝোম্মেষ-দীপ্ত-প্রতিভায়। 


১ 


৮৫ 
১২ 


ছে চিরন্থুন্দর 


হে চিরন্ুদ্দর, 

মানুষ চাহিছে তোমা” যুগ-যুগাস্তর 

আপনার জীবনের মাঝে । 

সকল চেফীয় তা'র তুচ্ছতম কাজে, 

তোমার ক্ষণিক স্পর্শ সে যে পেতে চাঁয়-_ 
না-পাওয়ার বেদনায় দিন তার ধীরে চলে যায়! 


কুৎ্সিতের মহীমেলা চলিয়াছে রাত্রি-দিন ধরি, ! 
হে স্থন্দর, কবে তুমি আপন পাসরি' 

কাহারে পরশি" যাও, সে ত নাহি জানে। 
সহসা ব্যাকুল বাণী জাগে তার প্রাণে; 

ভাষা তা'র গুমরিয়া মরে। 

না-ব্লাঁর বেধনায় অঃ তা'র ধীরে পড়ে ঝ'রে। 


হে পরশমণি, 

তোমারে যে ভালোবাসে, তা'রে তুমি এখনো! চেননি; 
তুমি যা'রে চাও, 

তারে তুমি সব দিয়ে যাঁও। 

চাহ" না যে ফিরে, 

ব্যর্থতা কোথায় কাঁ'র বক্ষ বসি' চিরে। 


৮৬ 


দীপা্িতা 


অধরা) রি নিনিযি। 
ছিন্ন তাঁর হৃদয়ের বীণ। 
ূর্ধ্য-চন্দ্র-গ্রহতারা ক্ষীণ হ'তে ক্ষীণ; 
আলে! যে ফুরায়-_ 

এ চলার শেষ নাহি হায়! 


হে চিরনুন্দর, 

রুদ্র জানি তব সাথী, ব্যথা জানি তব অনুর) 
ক্রেশের কণ্টকপথ *পরে 

যাত্রীর চরণ রক্ত প'ড়ে যায় ঝ'রে। 

জাতির কল্যাণপথে ধ্বংসে তুমি পাঁঠাও নীরবে। 
তারপরে যবে, ূ 

ক্ষতির পাটল-পুষ্প ভক্ত তোমা” দেয় উপহার, 
নির্দয় তখনো তুমি অন্তরালে প্রসারি' আধার, 
ছুই পায়ে দলি' তারে যাঁও। 

ফিরে নাহি চাঁও, 

যা'রে তুমি ভালোবাস, তাঃরে তব দকলি বিলাও ! 





ওয়াল্ট হুইট ম্যান্‌ 


শুভক্ষণে হে মহাঁন্‌ কবি, 

বদি বসি একরঙ ছবি 
সাঁজাইলে মাঁনবের মনের গুহায়! 
প্রাণ দিলে, ভাষ! দিলে তায়! 


অপূর্ব সে সাম্য-দাম, অপূর্বব সে আনন্দের গীত! 
বিশ্ববাসী হ'ল বিমৌহিত ! 

আনন্দের জয়-ভেরী উঠিলো বাঁজিয়া ! 

রহিয়। রহিয়া 

প্রীণহীন দেশে তার আসিছে আভাস! 

তাই মোরা পাই যে আশ্বাস! 


তোঁমার সে গীত, যেন বহিমুখে শিখার মতন, 
তোমার সে বাঁণী যেন প্রলয়ের জীমুত-গর্জন ! 
বিশ্বেরে জেনেছ সত্য নিজের স্বদেশ! 

নাই হিংসা, নাই কোনো দ্বেষ_ 

অকাতরে কুণ্টাহীন, গাহিয়াছ শুধু সাম্যসাম। 
হে গণ-তাস্কিক কবি, ভারতের লও গো প্রণাম ! 


৮৮ 





টু সং 


(০৫ 2 
7 (ড০, 1989. ) ৬৮ 
০ নক 


বৈজয়ন্তী 


রবীন্দ্র-জন্মোৎসবের দিনে, ২৫শে বৈশীখ, ১৩৩৫ 


বনান্ত-মর্ঘার-গীতি গাহি" যায় চৈত্র-রাতি;__উদাসিনী বিধুরা বধূটি! 
ুগান্ত-ন্বপ্রের ভাষ গুঞজরিয়া ফিরে ষেন নির্্বাকের আবরণ টুটি'। 
সে কহে, আমারি গাঁন বৈশাখের উত্তরীয়-তলে, 
বেলা-বন-মল্লিকার স্কট হাস্তে আপনি উথলে ; 
প্রদৌষের স্গিদ্ধতীয়, কিশোর খধির কণ্ে, তমোহর নবতর বেশে, 
উদাসিনী চৈত্ররাতি বেণুবন-পথে-পথে চলি? যায় বরষের শেষে! 


আজি বন-ভবনের নারিকেল-কুঞ্জে-কুঞ্জে নবীন প্রভাত-আলো! জাগে । 

সে যেন দূরের পান্ব_আশীর্ববীণী উচ্চারিছে স্থুকরুণ ভৈরবীর রাগে । 
কহিল সে, আমি আমি বৈশীখ-সখার সাঁথে সাথে, 
নবারুণ-বিকশিত লীলাপন্ আনি ছু*টি হাঁতে। 

চিক্ণ পল্লবছাঁয়ে নত শ্যাম আম্রশীখে তাপসের বীণা তাঁই বাঁজে। 

কিশোর বৈশাখ আসে নারিকেল-কুঞ্জে-কুষপ্ভে আজি বনভবনের মাঁঝে। 


তাই তা"র আবাহনী তরুণ কবির কণ্ট উদার উদাত্তস্ত্রে ভীসে। 

্থদুরের পান্থ-কবি বেদন!-তরণী বাহি' গঙ্গানীরে, শ্যাম বন্গবাসে। 
প্রতিভা সঁপিলো৷ তারে আপনার জয়মাল্যথানি। 
অচ্ছোঁদ-সরসী হ'তে স্বজন কমল দিলে! আনি । 

কহিল, তোমারে দিগু বিজয়ের রাজটীক! মরমী গো, হে কুশল কবি, ' 

তোমার নবীনছন্দে নবতন স্বপ্ন জীগে। মুক্তি ধরে প্রভাতী ভৈরবী।. 


৮৯ 


দীপান্িতা 


বঙ্গের অজনতলে সেদিনের স্ধাস্মৃতি ধূপসম সৌরভ-আতুর। 
পাঁষাণ-বন্ধন-মাঝে সন্ধানী নি্বরি-ধারা সে দিন-ও যে ব্যাকুল, বিধুর 
.. গুহাশীয়ী প্রহরার সে দিন-ও যে প্রাণ বম্পমান। 

সে দিন-ও যে শিলা হ'য়ে গতি চায় নিষেধ-পাঁষাঁণ। 
চর্ণ করি' কারাজাঁল বাহিরিলে! মহাআতি। তাঁ"রি মাঝে হেরিনু তোমায় 
বিশ্য়-বিমু্ধ প্রাণ মাল্যসম, গীতসম, ধূলিসম লুটাইতে চায়! 


হেরিলাম তা'রো পরে দূরগামী ভাবজোত জটা হ'তে লভেছে জনম। 
ভঙ্গে ভঙ্গে মহারক্গে জটিল আবর্তে তাই নবোন্মেষ-উদ্বেল উদগম। 
প্রাণের স্পন্দনে তা'র বাণী আনে ব্বর্গের বিভীস-_ 
উদাস গম্ভীর স্থর, কভু শুনি প্রেম-মন্দ ভাষ! 
নিত্য তবু নৃত্য তা'র দক্ষিণের ইসারায়। প্রাণময় তাহারি আহ্বান। 
জীবন-মালঞ্চ ঘেরি' নিত্য জাগে জয়োল্লাস। পুষ্পময় মাঁধবী-বিতান! 


কড়ু হেরি বটচ্ছায়ে ফসলক্ষেতের ধারে বৈরাগী সে ধাঁঝরী বাঁজায়। 
ব্যাকুল বাউল কভু নৃত্য করে ভাবাঁবেশে, এক্তারে গুপ্রিয়। যায়। 
সারাটি গগন থেরি, রম্ধে, রন্ধে, স্পন্দে সেই স্তুর। 
রক্তিম পল্লব যেন বায়ু-আোতে কম্পন-বিধুর। 
সারাটি অন্তরে মৌর সে সঙ্গীত বাজি' যায় দিবসের প্রহরে প্রহরে। 
নবীন খতুর পর্ণে বর্ণে বর্ণে বিভা তা"র অলক্ষ্যের ইঙ্গিতে মুগ্জরে ! 


7০ 


দীপাহিতা 


এ কী স্থষ্টি মধুময়ী ! এ কী গান উঠে বাজি স্ধাক্ষর মোহন বীণায় ! 

জীবনের অঙ্কে অঙ্কে মর্ম্বের অস্কুরগুলি রসধারে সপ্্ীবিতে চাঁয়। 
আরণ্য আনন্দ-ভাষা খষি যেন করে.উচ্চারণ ; 
সপ্তপর্ণছায়াতলে স্বপ্ন লভে রবির কিরণ। 

তারপরে গুঞ্রণ, কত মঞ্তু মুঞ্জরণ ; প্রভাতের স্বর্ণ-সিংহীসন,__ 

আলোক-উজ্্বল; দিবা ইগিত-সঙ্গীতময় | প্রাণ-ময় বিচিত্র ভাষণ! 


শতাব্দীর ব্যথাভার তৌমাঁর স্থ্টিতে কবি, নিরন্তর উঠিছে উচ্ছলি,__ 

শত বর্ষ-পরে কার ধ্যানস্তব চিত্তে তা"র বেদনা-বিভাঁটি উঠে বলি ! 
সেকি গো বসিবে আসি' বসন্ত-বেলার অবসাঁনে, 
পরিণাম-রমণীয় দিনান্তের স্িগ্ব-গন্ধ-ন্নানে, 

অগুরু-ধূপের বাসে আকুলিবে কেশভার দক্ষিণের বাঁতায়ন-তলে ! 

লাজন্তনেত্রে সে কি পড়িবে কবিতা তব ব্যখাস্থথে ভাসি' অশ্রজলে ! 


জানি সে করিবে পাঠ আনন্দ-উদ্বেল মনে. তাই উঠে প্রাণভরা গান। 
জানি সে বাসিবে ভালো! তোমারি সাধের স্বপ্ন। ভাই জাগে আকুল আহবান! 
সে দিন-ও এ আম্মবন অজানিত স্মৃতির উচ্ছ্বাসে, | 
আতা মুকুল দলে ভরি' দিবে সুরভি নিঃশ্বাসে! 
সে দিন-ও কিশোর বন্ধু শালবীথিকার তলে অসতমনে রহিবে উদাসী। 
বিরাট পাঁষাণ-পুরে বধূর অন্তর জুড়ি' বাজিবে সে পল্ী-বন্ী-বাশী। ূ 


৯১ 


দীপান্বিতা 


আঁষাঁঢের মীয়া রচি' অন্তর-গগনে মোর এলে তুমি, তাই শুধু জানি। 
সে দিন বর্ষণ-্থখে পুলকিতা ধরণী সে নীপবনে ফুটায়েছে বাণী! 
সে দিন আনিয়! দিলে উজ্জয়িনী-স্মৃতির সৌরভ । 
| কেয়া-গন্ধে মিশে যায় ভবন-শিখীর কেকারব। 
তা'রি সাঁথে এলে তুমি। তাই শুধু জানি আর ভাবমুগ্ধ রহিনু নীরবে 
কত-না আীবণ-সন্ধ্য হৃদয়ে ঘনায়ে এলো তন্দ্রাতুর গুরু-মেঘরবে। 


শ্যাম-শ্রীর সমারোহে একদ! প্রভাতে উঠি' ছেরিলাম সবিস্ময়ে চাহি, । 
কখন আসনে মোর এসেছ নীরব হীস্যে বিশ্ময়ের সীমা নাহি নাহি। 
ধরণীর প্রতি তৃণে আনন্দ-শিহর উঠে জাগি" । 
প্রতিটি পল্লব মোর করের পরশ ফিরে মাগি” । 
প্রাণের প্রবাহ-সাঁথে সেইক্ষণে পরিচয় । তা'রপরে অনুদিন ধরি” 
তুর্ণগতি মুক্তধারা মিশে যায় প্রতিঘাতে পথে পথে জড়তা পাসরি' । 


আমার এ মাঁলাখাঁনি তুলি” দিনু তব করে, আজিকাঁর বৈশাখী প্রভাতে 
আমার মর্ম্মের কথ! তুমি শুনি লও কবি অশথের মণ্মরের সাথে । 
চম্পীর কৌরক জাঁগে বনতলে গন্ধ-স্থৃষমাঁয়_ 
তারি স্বপ্ন হেরি বসি' পল্লাছায়ে লীলায় হেলায় । 
তমালবনের পাঁরে নীরবে ঘনায় ছাঁয়া। . তারি মায়া আনে মোহঘোর 
_ সেছন্দ-আনন্দ-গান প্রণতির সাথে লহ*। তারি সাথে লহ' চিত্ত মো? 


৪২ 


ক তি 247১৬ নি 
ক দি রা, রহ, 
৯৮০ ৫5:00 1 চি